পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
আরও একবার বাংলাদেশের জয়ের নায়ক হলেন গোলরক্ষক মেহেদী হাসান। সেমিফাইনালে তার নৈপুণ্যেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতের দুটি স্পটকিক ফিরিয়েছিলেন। ফাইনালে ফেরালেন তিনটি। ফলে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে লাল সবুজের দল।
নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে শনিবার নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ গোলে ড্র থাকার পরে টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। আর টাইব্রেকারে ৩-২ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালে প্রথমবার শিরোপা জিতেছিল দলটি
গ্রুপ পর্বে নেপালের বিপক্ষে লালকার্ড পাওয়ায় সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ছিলেন না নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা। তার জায়গায় সুযোগ পেয়ে দারুণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করেই নজর কেড়েছিলেন মেহেদী। সে কারণেই ফাইনালে মূল একাদশে না থাকলেও টাইব্রেকারে ঠিকই তাকে নামিয়ে দেন কোচ। আর কোচের আস্থার পূর্ণ প্রতিদান দেন এ গোলরক্ষক।
পাকিস্তানের জুনাইদ আহমেদ, আদনান জুসতিন ও মুদাসসর নজরের শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক মেহেদী। বাংলাদেশের হয়ে টাইব্রেকারে তিনটি গোল করেছেন তৌহিদুল ইসলাম, রাজা আনসারি ও রুস্তম ইসলাম দুখু মিয়া।
এদিন ম্যাচের ২৫ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কর্নার ঠিকভাবে বিপদমুক্ত করতে না পারায় নিজেদের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়। প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
৫৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরে পাকিস্তান। ডি বক্সের মধ্যে পাকিস্তানের এক খেলোয়াড়কে ফাউল করেন হেলাল আহমেদ। তাতে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর স্পট কিক থেকে গোল আদায় করে নেন মহিবউল্লাহ।
সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষেও ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল একই রকম। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে সমতায় থাকার পর ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। তাতে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালের টিকেট কেটেছিল বাংলাদেশ।
Read More: U-15s clinch SAFF Championship by beating Pakistan
Comments