বাংলাদশের চেয়ে ১৪০ রানে এগিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ১৪০ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এদিন জিম্বাবুয়ের শেষ পাঁচ উইকেট মাত্র ২১ রানেই তুলে নিয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে গেছে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১৪৩ রানেই গুটিয়ে গেছে দলটি।
শেষ বিকেলে কোন বিপদ হয়নি জিম্বাবুয়ের
দিনের শেষ দুই ওভার দেখে শুনেই কাটিয়ে দিয়েছে সফরকারী জিম্বাবুয়ের দুই ওপেনার। কোন উইকেট না হারিয়ে ১ রান করেছে তারা। অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১ ও ব্রায়ান চারি ০ রানে ব্যাট করছেন। ১৪০ রানে এগিয়ে আছে সফরকারী দলটি। ফলে সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ম্যাচের লাগাম তাদের হাতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ২৮২ (১১৭.৩ ওভার) (মাসাকাদজা ৫২, চারি ১৩, টেইলর ৬, উইলিয়ামস ৮৮, রাজা ১৯, মুর ৬৩*, চাকাবা ২৮, ওয়েলিংটন ৪, মাভুটা ৩, জার্ভিস ৪, চাতারা ০; জায়েদ ১/৬৮, তাইজুল ৬/১০৮, আরিফুল ০/৭, মিরাজ ০/৪৫, নাজমুল ২/৪৯, মাহমুদউল্লাহ ১/৩)।
জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস: ১/০ (মাসাকাদজা ব্যাটিং ১, চারি ব্যাটিং ০; তাইজুল ০/১, নাজমুল ০/০)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৪৩ (৫১ ওভার) (লিটন ৯, ইমরুল ৫, মুমিনুল ১১, শান্ত ৫, মাহমুদউল্লাহ ০, মুশফিক ৩১, আরিফুল ৪১*, মিরাজ ২১, তাইজুল ৮, নাজমুল ৪, আবু জায়েদ ০; জার্ভিস ২/২৮, চাতারা ৩/১৯, মাভুটা ০/২৭, রাজা ৩/৩৫, ওয়েলিংটন ০/২১, উইলিয়ামস ১/৫ )।
প্রথম ইনিংসে ১৩৯ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারবাহিকতা ধরে রেখে ১৪৩ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটি কোন ব্যাটসম্যানই বলার মতো কোন জুটি গড়তে পারেননি। এক অভিষিক্ত আরিফুল হক ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে না পারায় ১৩৯ রানের বিশাল লিডই পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। ফলে দ্বিতীয় দিনেই চালকের আসনে সফরকারীরা।
আবু জায়েদ রাহীকে এক প্রান্তে রেখে অপর প্রান্ত আগলে রাখতে চেয়েছিলেন আরিফুল। তাই সুযোগ পেয়েও সিঙ্গেল নেননি। কিন্তু পঞ্চম বলে প্রান্ত বদল করতে গেলে রানআউট হন রাহী। তাতে থেমে যায় আরিফুলের লড়াই। ৯৬ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৪৩/১০ (৫১ ওভার) (লিটন ৯, ইমরুল ৫, মুমিনুল ১১, শান্ত ৫, মাহমুদউল্লাহ ০, মুশফিক ৩১, আরিফুল ৪১*, মিরাজ ২১, তাইজুল ৮, নাজমুল ৪, আবু জায়েদ ০; জার্ভিস ২/২৮, চাতারা ৩/১৯, মাভুটা ০/২৭, রাজা ৩/৩৫, ওয়েলিংটন ০/২১, উইলিয়ামস ১/৫ )।
রাজার তৃতীয় শিকার অপু
সিকান্দার রাজার বলটি রক্ষণাত্মক ঢঙেই খেলতে চেয়েছিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। কিন্তু তার ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো ব্রায়ান চারির হাতে। ১৫ বলে ৪ রান করেছেন অপু।
তাইজুলকে ফেরালেন রাজা
বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়ে তাইজুল ইসলামকেও তুলে নিলেন সিকান্দার রাজা। অফস্টাম্পের বাইরে রাখা বলে খোঁচা মারতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তাইজুল। গ্লাভসে লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক রাগিস চাকাভার হাতে। ২৪ বলে ৮ রান করেছেন তাইজুল। ৪৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৩১ রান। এক প্রান্ত আগলে ৩৩ রানে অপরাজিত আছেন আরিফুল হক।
ফিরে গেলেন মিরাজও
লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল ঘোরাতে চেয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে শুন্যে উঠে গেলে নিজেই ক্যাচ লুফে নেন বোলার শেন উইলিয়ামস। ফলে লেজ বেড়িয়ে এসেছে বাংলাদেশের। আর বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে জিম্বাবুয়ে। আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে ২১ রান করেছেন মিরাজ।
৩৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১০৯ রান। ১৮ রানে ব্যাট করছেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত আরিফুল হক। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন তাইজুল ইসলাম।
চার বিরতির পর আউট মুশফিক
একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিপদে পরা বাংলাদেশ দল তাকিয়ে ছিল মুশফিকুর রহীমের দিকে। মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এ ব্যাটসম্যান হতাশ করেছেন। বিপদ বাড়িয়ে আউট হয়েছেন কাইল জার্ভিসের বলে। তার বাড়তি বাউন্সার মুশফিকের ব্যাটের কানায় লেগে জমা হয় উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার হাতে। আউট হওয়ার আগে ৫৪ বলে ৩১ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
২৯ ওভার শেষে ৭৮ রানেই ছয় উইকেট হারিয়ে তাই বড় বিপদে আছে বাংলাদেশ। শেষ স্বীকৃত দুই ব্যাটসম্যান আরিফুল হক ও মেহেদী হাসান মিরাজ উইকেটে আছেন। আরিফুল ৯ ও মিরাজ ৪ রানে ব্যাট করছেন।
এক সেশনেই পাঁচ উইকেট হারাল বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বোলারদের দাপট অব্যাহত রয়েছে। জিম্বাবুয়ের শেষ পাঁচ উইকেট মাত্র ২১ রানে তুলে নেওয়ার পর বিপদে আছে টাইগাররাও। মাত্র ১৯ রানে চার উইকেট হারানোর পর ৪৯ রানে হারায় পঞ্চম উইকেট। তবে ষষ্ঠ উইকেটে অভিষিক্ত আরিফুল হককে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। চার বিরতির আগ পর্যন্ত ২৫ রানের জুটি গড়েছেন তারা। ফলে ২৮ ওভারে ৫ উইকেটে৭৪ রান তুলে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। ২৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মুশফিক। আরিফুল উইকেটে আছেন ৯ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:(চা বিরতি পর্যন্ত)
বাংলাদেশ: ৭৪/৫ (২৮ ওভার) (লিটন ৯, ইমরুল ৫, মুমিনুল ১১, শান্ত ৫, মাহমুদউল্লাহ ০, মুশফিক ব্যাটিং ২৭, আরিফুল ব্যাটিং ৯; জার্ভিস ১/১১, চাতারা ৩/৯, মাভুটা ০/২৭, রাজা ১/১৯, ওয়েলিংটন ০/০)।
বিপদ বাড়িয়ে ফিরে গেলেন মুমিনুলও
প্রথম সারির চার উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বড় বিপদে। তাও মাত্র ১৯ রান তুলতেই। এরপর মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহীমের জুটিতে তাকিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু হতাশ করেছেন মুমিনুল। সিকান্দার রাজার বলে স্লিপে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। ৩৮ বলে তার অবদান ১১ রান। ১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫৩ রান। মুশফিক ১৬ রানে উইকেটে আছেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অভিষিক্ত আরিফুল হক।
ফিরলেন মাহমুদউল্লাহও, বড় চাপে টাইগাররা
১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। তখন বাংলাদেশ তাকিয়ে ছিল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর দিকে। বিপদে প্রায় দলের ত্রাতা হন তিনি। কিন্তু এদিন বিপদ আরও বাড়িয়ে দিলেন তিনি। চাতারার বল খেলতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হয়ে যান তিনি। অধিনায়কের খালি হাতে বিদায়ে বড় চাপে পড়েছে টাইগাররা। ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯ রান করেছে বাংলাদেশ।
শান্তর বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ
বিপদ বাড়িয়ে ফিরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। টেন্ডাই চাতারার বলে খোঁচা মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন উইকেটরক্ষক রেগুইস চাকাভার হাতে। শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে সাফল্য পায় জিম্বাবুয়ে। রিপ্লেতে দেখা যায় উইকেটরক্ষকের হাতে বল যাওয়ার আগে হালকা চুমু খেয়ে যায় শান্ত ব্যাটে। ৫ বলে ৫ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান।
ফিরে গেলেন লিটনও
ইমরুল কায়েসের পর সাজঘরে দ্রুতই ফিরেছেন। আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাসও। ফলে শুরুতেই চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক রেগিস চাকাভার হাতে। ২৫ বলে ৯ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান। ৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৫ রান। মুমিনুল হক উইকেটে আছেন ১ রানে।
চাতারার বলে আউট ইমরুল
দারুণ ছন্দে থাকা ইমরুল কায়েসকে শুরুতেই ফিরিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ওয়ানডে সিরিজে দারুণ ব্যাটিং করে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। তিন ম্যাচের সিরিজে ৩৪৯ রান। কিন্তু টেস্ট সিরিজে সে ধারা ধরে রাখতে পারলেন না। টেন্ডাই চাতারার হালকা বাউন্সার রক্ষণাত্মক ঢঙে খেলতে চেয়েছিলেন ইমরুল। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে উইকেটে।
আউট হওয়ার আগে ১৩ বলে ১টি চারের সাহায্যে ৬ রান করেন ইমরুল। ৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮ রান। ৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস। নতুন ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ০ রানে ব্যাট করছেন।
লাঞ্চের আগে ১ ওভার ব্যাট করে ২ রান করেছে বাংলাদেশ
২৮২ রানে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার পর নিজের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগে ১ ওভার ব্যাট করে কোন উইকেট না হারিয়ে ২ রান করেছে দলটি। ইমরুল কায়েস ও লিটন কুমার দাস দুইজনই ১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
তাইজুলের ঘূর্ণিতে ২৮২ রানে শেষ জিম্বাবুয়ে
আগের দিনই ৫ উইকেটে ২৩৬ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে পিটার মুর ও রাগিস চাকাভা দারুণ কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। দারুণ এক জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে পরে লক্ষ্য পূরণ হয়নি তাদের। শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে তারা স্কোরবোর্ডে ২১ রান যোগ করতেই।
দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তাইজুল ইসলাম। একাই তুলে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। ক্যারিয়ারে চতুর্থবার পাঁচ উইকেট কিংবা তার বেশি পেলেন তাইজুল। দারুণ বোলিং করেছেন আরেক স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুও। তার শিকার দুই উইকেট। তবে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শেষ দিকে ধ্বসে পড়লেও ব্যতিক্রম ছিলেন পিটার মুর। এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাট করে করেছেন হার না মানা ৬৩ রান। ১৯২ বলে ৬টি চারে এ রান করেছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২৮২/১০ (১১৭.৩ ওভার) (মাসাকাদজা ৫২, চারি ১৩, টেইলর ৬, উইলিয়ামস ৮৮, রাজা ১৯, মুর ৬৩*, চাকাবা ২৮, ওয়েলিংটন ৪, মাভুটা ৩, জার্ভিস ৪, চাতারা ০; জায়েদ ১/৬৮, তাইজুল ৬/১০৮, আরিফুল ০/৭, মিরাজ ০/৪৫, নাজমুল ২/৪৯, মাহমুদউল্লাহ ১/৩)।
তাইজুলের পঞ্চম শিকার জার্ভিস
শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করছেন তাইজুল ইসলাম। সে ধারা নিজের পঞ্চম উইকেট তুলে নিয়েছেন এ বাঁহাতি স্পিনার। তাইজুলের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে দাঁড়ানো মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি হয়েছেন তিনি। ৯ বলে ৪ রান করেছেন জার্ভিস।
অপুর দ্বিতীয় শিকার মাভুতা
দারুণ এক বলে ব্রান্ডন মাভুতাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপু। রক্ষণাত্মক ঢঙেই খেলতে চেয়েছিলেন মাভুতা। তবে বল ব্যাটে লাগাতে না পারলে আঘাত হানে প্যাডে। ১৪ বলে ৩ রান করেছেন এ ব্যাটসম্যান। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখেছেন পিটার মুর। উইকেটে আছেন ৫৯ রানে। ১১৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৭৫ রান।
ওয়েলিংটনকে ফেরালেন তাইজুল
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন তাইজুল ইসলাম। জিম্বাবুয়ে শিবিরে চতুর্থ আঘাত হেনেছেন এ বাঁহাতি স্পিনার। উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের ক্যাচে পরিণত করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে। ২৮ বলে ৪ রান সংগ্রহ করেছেন এ ব্যাটসম্যান। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ ব্যাট করে যাচ্ছেন পিটার মুর। ৫৬ রানে উইকেটে আছেন তিনি। ১১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬৯ রান।
শান্তর দারুণ ক্যাচে ভাঙল জুটি
তাইজুল ইসলামের বলে মিড উইকেটের দিকে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন রেগিস চাকাভা। দ্রুত ব্যাগে বল আসায় ঘুরে সরে যেতে চেয়েছিলেন শর্ট লেগে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তার গায়ে লেগে বল জমা হয় তার হাতে। ফলে ভাঙে ষষ্ঠ উইকেটের ৬০ রানের দারুণ জুটিটি। ৮৫ বলে ২৮ রান করেছেন চাকাভা। ১০৩ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬১ রান। ৫৩ রানে ব্যাট করছেন পিটার মুর। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন উইলিয়াম মাসাকাদজা।
মুরের হাফসেঞ্চুরি
জিম্বাবুয়ের ইনিংস মেরামত করে রেগিস চাকাভার সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তুলেছেন পিটার মুর। নিজেও তুলে নিয়েছেন দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি। তাইজুল ইসলামের বলে লংঅনে সীমানা দিয়ে বাউন্ডারি মেরেই নিজের হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ১৪৫ বলে ধৈর্যশীল এ ইনিংসে ৬টি চার মেরেছেন এ ব্যাটসম্যান। ১০২ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৬১ রান।
মুর-চাকাভার জুটিতে পঞ্চাশ রান
প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যান আগেই বিদায় নিয়েছে। পিটার মুর ও রেগিস চাকাভার ব্যাটে তাকিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে। আগের দিনই ৩৫ রানের জুটি গড়েছিল দলটি। এদিন তাইজুল ইসলামের বলে নিজেদের জুটির পঞ্চাশ স্পর্শ করছেন মুর।
দারুণ ব্যাট করে হাফসেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন মুর। এর মধ্যেই তার সংগ্রহ ৪৭ রান। সঙ্গী চাকাভা ব্যাট করছেন ২৮ রানে। ৯৯ ওভারে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৪ রান।
প্রথম দিনের খেলা শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ২৩৬/৫ (৯১ ওভার)(মাসাকাদজা ৫২, চারি ১৩, টেইলর ৬, উইলিয়ামস ৮৮, রাজা ১৯, মুর ব্যাটিং ৩৭, চাকাবা ব্যাটিং ২০; জায়েদ ১/৬১, তাইজুল ২/৮৬, আরিফুল ০/৭, মিরাজ ০/৩৭, নাজমুল ১/৪২, মাহমুদউল্লাহ ১/২)।
Comments