ফের আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ড. কামালের চিঠি
অসম্পূর্ণ আলোচনা শেষ করতে ফের সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। আজ রোববার সকালে গণফোরাম নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়ে গিয়ে চিঠিটি হস্তান্তর করেন।
সংলাপের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে কামাল হোসেন চিঠিতে বলেছেন, গত ১ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির ব্যাপারে গণভবনে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় নিয়ে আলোচনার পরও সেটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। সেই দিন আপনি বলেছিলেন আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তাই অসম্পূর্ণ আলোচনা সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে অতি জরুরি ভিত্তিতে আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে আবারও সংলাপে বসতে আগ্রহী।
এক্ষেত্রে দাবিগুলোর সাংবিধানিক ও আইনগত দিক বিশ্লেষণের জন্য উভয় পক্ষের বিশেষজ্ঞসহ সীমিত পরিসরে আলোচনা আবশ্যক বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ১ নভেম্বর গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বসেন। অপর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের ২৩ জন নেতা আলোচনায় অংশ নেন।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও ইভিএম ব্যবহার না করা, বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ঐক্যফ্রন্টের একগুচ্ছ দাবি নিয়ে সেদিন দুপক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়।
সেদিন সংলাপ শেষে সংবাদ সম্মেলন করে ড. কামাল বলেছিলেন, আলোচনায় সুনির্দিষ্ট কোনো সমাধান তারা পাননি।
আলোচনার কার্যকর কোনো ফলাফল পাওয়ার ব্যাপারে এরই মধ্যে হতাশা ব্যক্ত করেছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল তিনি রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বলেছেন, সংলাপকে হাস্যকর করে তোলার জন্য কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে সরকার। সংলাপ নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। দাবি আদায়ে তারা আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলেও বক্তব্যে স্পষ্ট করেন মান্না।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৭ নভেম্বরের পর আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আর সুযোগ থাকবে না। কারণ এর মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে যাবে।
Comments