এমন ব্যর্থতার কারণ জানা নেই কোচেরও
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে আর কোনো ব্যাটিং বিপর্যয় হয়নি বাংলাদেশের। এদিন ব্যাটিংই করেছে দশ ওভারের মতো। কিন্তু আগের দিনের ব্যাটিং ব্যর্থতার জবাব পাওয়ার মতো এদিনই কাউকে পাওয়া গেল হাতের কাছে। সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রধান কোচ স্টিভ রোডস অবশ্য নিজেও বলতে পারলেন না কি কারণে ব্যাটসম্যানদের হয়েছিল এই দশা।
দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তাইজুল ইসলাম। সেদিন ১৪৩ রনে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বেচারা তাইজুল সেদিন ছয় উইকেট নেওয়ার ‘মাশুল’ যেন দিলেন কঠিন সব প্রশ্নের আমতা আমতা জবাব দিয়ে। তার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার কথা নয়, পাওয়াও যায়নি।
কিন্তু স্টিভ রোডস তো সেই উত্তর দেওয়ার জন্য ঠিকঠাক লোক। ৩২১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ২৫ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। জিততে হলে দরকার আরও ২৯৫ রান। যারা প্রথম ইনিংসে দেড়শো পেরুতে পারেনি তাদের জন্য নিশ্চিতভাবেই ভীষণ কঠিন কাজ। কাজটা এমন কঠিন হয়েছে যে কারণে সেই প্রথম ইনিংসের কি ব্যাখ্যা?
কোচ এখানে কেবল আত্মপক্ষ সমর্থনই করে গেলেন, ‘অনেকটাই নিষ্প্রাণ উইকেটে ১৪৩ রানে অলআউট হওয়া খুবই হতাশার। তবে কেন, সেই উত্তর আমি সবসময় জানি না। দিনটিতে আমাদের কিছুই ঠিকঠাক হয়নি। আমার ধারণা, ড্রেসিং রুম সেটা পুষিয়ে দিতে প্রস্তুত। হবে কিনা জানি না, তবে চেষ্টা নিশ্চিতভাবেই করব আমরা।’
টেকনিক্যাল ব্যাখ্যা নেই। আসল কারণ জানলেও হয়তো বলার মতো পরিস্থিতি নেই। সেই একই রকম কথা নতুন করে তিনি শুনিয়েছে আরেকবার, ‘আমি নিজের কোচিং পছন্দ করি, নিজের ধরনে আস্থা রাখি। তবে ক্রিকেটে সবসময় সবকিছু পক্ষে আসে না। যে ব্যাটসম্যানেরা আউট হয়েছে, সবাই ভালো। কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের বিপদে ফেলেছি এবং ওরা সেটা জানে। আপনারা প্রশ্ন করছেন, আমাকে উত্তর দিতেই হবে। নিজেদের ব্যাটিংয়ে ওরা সবাই হতাশ।’
এখনো ম্যাচ শেষ হয়নি। অভাবনীয় কোন ব্যাটিং করে জিতেও যেতে পারে বাংলাদেশ। তবে না জিতলে নিশ্চিতভাবেই আসছে তেতো সব সমালোচনা। এটা ভেবেই হয়ত আগেভাগে ব্যাটসম্যানদের আগলে রাখতে চাইলেন তিনি, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে ম্য্যাচ দুটি আমাদের জন্য ছিল খুব কঠিন। কিন্তু এখানে, দেশের মাটিতে, এমন ব্যাটিং খুব হতাশার। ওরা চেষ্টা করছে। আমি বিশ্বাস করি, এরা ভালো ব্যাটসম্যান। স্রেফ আত্মবিশ্বাস দরকার। ওদের প্রতি খুব আক্রমণাত্মক কিংবা রূঢ় হতে পারি না আমরা।”
Comments