‘২০১৩ সালে নির্বাচন কমিশন ঐতিহাসিক ভুল করেছিল’

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনাররা বৈঠক করেন। ছবি: সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল, ইভিএম ব্যবহার ও বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে গতকাল জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে কথা বলেছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেসব বিষয় নিয়েই আজ তিনি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি বলেছি যে, এখনকার মতোই ২০১৩ সালে যখন সরকার এবং বিরোধীদলের মধ্যে আলোচনা চলছিল তখন নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে একটি ঐতিহাসিক ভুল করেছিল। সে সময় তারা হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে দুই দলকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিল। সুতরাং আপনাদের উচিত হবে না একই রকম ভুলের পুনরাবৃত্তি করা। আপনাদের কাজে-কলমে, চিন্তাধারায়, স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ দিতে হবে। কিন্তু আপনারা কথায় বলছেন স্বাধীন, কিন্তু কাজ হচ্ছে সব সরকারের মতো!’

দ্বিতীয়ত আমরা বলেছি, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার ব্যাপারে। বলেছিলাম, র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নেই, কিন্তু র‌্যাব ম্যাজিস্ট্রেট সঙ্গে নিয়ে যায়, সেনাবাহিনীও তাদের অধীনে যেন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে যেতে পারে। তাহলে তো কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। কিন্তু ওনারা বললেন যে, তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নন। কিন্তু এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ ব্যাপারে তারা পরবর্তীতে আলোচনা করবেন।

আমরা বলেছি, আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যাবহার করার কথা বলেছেন আপনারা। কিন্তু তিন বছর আগে না করে এইবার হঠাৎ কেন করছেন? তার উপর আবার ১১ গুণ বেশি দামে ইভিএম মেশিন কেনা হয়েছে। কিন্তু আপনারা এতে কোনো প্রতিবাদও করেননি। তাহলে অভিযোগের বিষয়টি কি সত্য?

উত্তরে তারা বললেন, ইভিএম ব্যবহার হবে সীমিত আকারে। তখন আমরা বললাম, এটি সংখ্যা দিয়ে বলেন। তখনও তারা বললেন যে, সে ব্যাপারেও আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে অচিরেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।

আরেকটি ব্যাপার হলো, নির্বাচন কমিশনার বলেছেন ইভিএম ম্যানিপুলেট করা যায় না। তখন মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আপনি যে বাটনেই চাপ দিবেন না কেন, তা হয়তো নৌকা বা ধানের শীষ, পার্টিকুলার যেকোনো একটিতে চলে গেল। আপনি সেটিকে যেভাবেই সেট করবেন, তা তো সেভাবেই কাজ করবে।

যখন আমাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আপনাদের উপর তো জনগণের আস্থা নেই। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ক্ষেপে যান। তখন তারাও বলে বসেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিও তো জনগণের আস্থা নেই।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা আরেকটি বিষয় বলেছেন, ‘ড. কামাল হোসেন লিখে দিক, সামরিক বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া বিধি সম্মত।’

আমরা এও বলেছি যে, নির্বাচন কমিশন নিজে কিছু বলতে বা করতে পারছে না। তারা অন্যের নির্দেশেই সব কিছু করছে।

Comments

The Daily Star  | English

US bomber jets leave UK base; Iran launches 'Fattah-1 missiles' towards Israel

Israel and Iran attacked each other for a sixth straight day on Wednesday, and Israeli air power reigns over Iran, but needs US for deeper impact

10h ago