আমরা আন্দোলনে আছি: সংলাপ শেষে ফখরুল

সরকারের সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আন্দোলনে আছি। গতকালকেই আমরা রোডমার্চের ঘোষণা দিয়েছি। রাজশাহীতে আমরা জনসভা করব। আগামীকাল তফসিল যদি ঘোষণা করে, তাহলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে আমাদের পদযাত্রা হবে।
Jatiya Oikyafront
৭ নভেম্বর ২০১৮, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ছবি: স্টার/আমরান হোসেন

সরকারের সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আন্দোলনে আছি। গতকালকেই আমরা রোডমার্চের ঘোষণা দিয়েছি। রাজশাহীতে আমরা জনসভা করব। আগামীকাল তফসিল যদি ঘোষণা করে, তাহলে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে আমাদের পদযাত্রা হবে।

সংলাপে আশার আলো দেখছেন কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, জনগণ যদি আশার আলো দেখে তাহলেই দেখা হবে। কালকে আমরা রোডমার্চ করে রাজশাহী যাচ্ছি। পরশু সেখানে জনসভা করব।

আজ বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপ শেষে বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে অবশ্যই আলোচনা হয়েছে। সে আলোচনায় আমরা জোর দিয়ে বলেছি, তিনি তো আইনগতভাবেই মুক্তি পাওয়ার যোগ্য।’

এ সময় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা সংসদ ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছি। সংসদ ভেঙে দেওয়া ৯০ দিন পরেই তো নির্বাচন হবে। সংসদ ভেঙে দেওয়াটা সংবিধানের অন্তর্গত বিষয়। একই সাথে দুটো সংসদ থাকবে এটা তো কোনো নিয়মই হতে পারে না।

সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মান্না বলেন, ওনারা যদি বলেন যে, এটার কোনো ব্যবস্থা নেই তাহলে সম্পূর্ণ ভুল বলেছেন। সংবিধানের মধ্যেই আছে, সাংবিধানিকভাবেই আমরা প্রস্তাব করেছি, সেক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে দেওয়ার পরের ৯০ দিনে নির্বাচন হবে, এটাই তো স্বাভাবিকতা। আমরা নির্বাচন পিছিয়ে চাইছি এটা কোনো কথা নয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমারা প্রস্তাব করেছি। তারা বলেছেন আলোচনা হতে পারে।

‘আমরা সবসময় সংলাপকে আমাদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি। এখনও আমরা বিশ্বাস করি যে, আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। সরকার যদি সেই পথে না আসে, সরকার যদি আলোচনার মাধ্যমে একটি জায়গায় পৌঁছুতে না চায়, তাহলে সেই দায় দায়িত্ব সম্পূর্ণ সরকারের উপরই বর্তাবে,’ বলেন ফখরুল।

মান্না আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আর কোনো গ্রেপ্তার হবে না, মামলা হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার যদি না মানে, তাহলে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টা চালাব। আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে সরকারের কাছে গিয়েছি। সরকার বলেছে, ভবিষ্যতে তারা এগুলো আলাপ-আলোচনা করে দেখতে পারে। সুযোগ আছে আলোচনার। আমরা আমাদের দাবি নিয়ে জনগণের কাছে যাচ্ছি। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেই আমরা দাবি আদায় করব।

প্রথম দফায় অসন্তুষ্ট, দ্বিতীয় দফার সংলাপে সন্তুষ্ট কি না? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘সন্তোষ অসন্তোষের ব্যাপারটি এখনই বলতে চাচ্ছি না। এখন আমরা জনগণের কাছে যেতে চাইছি। জনগণকে দিয়েই আমরা সন্তোষ আদায় করব।’

সহিংসতার দিকে না শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের দিকে যাচ্ছেন? এ প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণ সরকারের।’

এ সময় ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমরা তো সেই চেষ্টা করেই যাচ্ছি, করে যাবো। স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ অবস্থায় আন্দোলন করব। দায়িত্ব তো সরকারের, কারণ বল এখন সরকারের কোর্টে।’

সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে এর মাধ্যমে তৃতীয় কোনো পক্ষের জন্য ক্ষমতায় আসার ফাঁকফোকর খুলে যেতে পারে, ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ফখরুল বলেন, ‘এই কথা বলার অর্থই হচ্ছে জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। জনগণের যে দাবি তাতে তাদের কোনো শ্রদ্ধা নেই। আজকে এইর দাবিগুলো আমরা করছি একটি অর্থবহ নির্বাচনের জন্য। আলোচনা-সংলাপের মাধ্যমে একটি ফলপ্রসূ সমাধানে যেন আসে। নির্বাচন পেছানোর জন্য নয়, মানুষের দাবি নিয়ে আমরা এগুচ্ছি।

Comments

The Daily Star  | English

The Daily Star-IPDC unsung women nation builders award-2023: Hats off to grassroots women trailblazers

Five grassroots women were honoured at the seventh edition of the Unsung Women Nation Builders Award-2023 yesterday evening for their resilience and dedication that empowered themselves and brought about meaningful changes in society.

1h ago