তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া: তফসিল ঘোষণা পরিস্থিতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত পথের দিকেই ঠেলে দেবে

Ali Riaz
অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সরকার ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যকার সংলাপে কার্যকর কোনো অগ্রগতি না হওয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর সাংবাদিক সন্মেলন বাতিলের পটভূমিকায় তাড়াহুড়া করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা উদ্বেগজনক।

অতীতে নির্বাচন কমিশন কখনোই এত দ্রুততার সঙ্গে তফসিল ঘোষণা করেনি এবং এই নিয়ে এতটা উৎসাহ দেখায়নি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা শুরু হবার কমপক্ষে ২৫ দিন পরে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার বাধ্যবাধকতার সূচনা হয় ২১ মার্চ, কিন্ত তফসিল ঘোষণা করা হয় ১৭ এপ্রিল। ২০০১ সালে সময় নেওয়া হয়েছিলো ৩৫ দিন। ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা এবং বিরোধী দলের আন্দোলন সত্ত্বেও ৯০ দিনের সময়সূচি শুরুর ৩০ দিন পরে তারিখ ঘোষণা করা হয়।

এখন এমন কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে নির্বাচন কমিশনের মনে হলো অর্থাৎ বাধ্যবাধকতা শুরুর এক সপ্তাহ না যেতেই তারিখ ঘোষণা করতে হবে? তদুপরি সারাদেশে বিরোধী কর্মীদের ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। গায়েবি মামলাও বন্ধ হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে স্থাপিত আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে ফেরত আনা হয়নি।

এই ঘটনা প্রবাহের মধ্যে রাজনৈতিক সংকট আরো ঘনীভূত হলো এবং সকলের অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও অবাধ একটি নির্বাচন নিয়ে সংশয় আরও বৃদ্ধি পেলো।

তফসিল ঘোষণা পরিস্থিতিকে কেবল জটিলই করবে না, অনাকাঙ্ক্ষিত পথের দিকেই ঠেলে দেবে। আশা করি, নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা বুঝতে পারবেন যে সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায়-দায়িত্ব তাঁদের কাঁধেই পড়বে।

লেখক পরিচিতি: আলী রীয়াজ, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক। ছবি: সংগৃহীত

Comments

The Daily Star  | English

Police struggle as key top posts lie vacant

Police are grappling with operational challenges as more than 400 key posts have remained vacant over the past 10 months, impairing the force’s ability to combat crime. 

10h ago