মাহমুদউল্লাহ এখন জিম্বাবুয়েকেই অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড মনে করছেন

সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

সেই ২০০১ সাল। এরপর কেটে যায় ১৭টি বছর। দীর্ঘ এ সময় পর আবার বাংলাদেশকে হারিয়ে দেশের বাইরে টেস্ট ম্যাচে জয় পায় জিম্বাবুয়ে। এমনকি ঘরের মাঠেও শেষ জয়টি তারা পেয়েছিল পাঁচ বছর আগে। সেই জিম্বাবুয়েই কিনা এখন বাংলাদেশের জন্য ভয়ংকর প্রতিপক্ষ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তো তাদের অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মতোই শক্ত প্রতিপক্ষ মনে করছেন।

আর বলবেনই না কেন? সাদা পোষাকে যে টাইগারদের সাম্প্রতিক সময়ে চেনাই দায়। শেষ আট ইনিংসে তারা একবারও দুই শত রান কোটা ছুঁতে পারেননি। এমনকি দেড়শর উপরে করেছে মাত্র দুইবার। ১১০, ১২৩, ৪৩, ১৪৪, ১৪৯, ১৬৮, ১৪৩ এবং ১৬৯। টাইগারদের আত্মবিশ্বাস তাই তলানিতে। এমন সময়ে তাই জিম্বাবুয়েও চোখ রাঙাচ্ছে।

প্রতিপক্ষ যে দলই হোক, পর্যাপ্ত সম্মান তাদের করতেই হয়। তা না হলে পচা শামুকেও পা কাটাও অসম্ভব কিছু নয়। কিন্তু সাদা পোশাকে জিম্বাবুয়ে অনেক আগেই তাদের শক্তি হারিয়েছে। সাম্প্রতিক ইতিহাসও খুব বাজে। বাংলাদেশে পা রাখার আগে শেষ দুই সিরিজে তাদের ছিল হতশ্রী অবস্থা। তাদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে কি না দুশ্চিন্তায় বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহর ভাষায়, ‘ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে যেভাবে দেখি, আমি জিম্বাবুয়েকেও একই চোখে দেখি।’

আর একই চোখে দেখতে গিয়েই সিলেট টেস্টে গুবলেট করে ফেলেছে বাংলাদেশ। একাদশে ছিল কি না মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ পেসার। অর্থাৎ ম্যাচে নামার আগেই মানসিকভাবে পিছিয়ে ছিল টাইগাররা। আর সে ছাপ ফুটে ওঠে পুরো ম্যাচ জুড়েই। শেষ পর্যন্ত বিব্রতকর এক হার। মিরপুর টেস্টে নামার আগেও তাই ঘুরে ফিরে আসছে সে ম্যাচ। অস্বীকার করতে পারলেন না অধিনায়কও, ‘আমাদের এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মত অবস্থা। আমাদের শক্তভাবে ফিরে আসতে হবে। এখানে অন্য কোন সুযোগ নেই।’

টেস্ট ক্রিকেট ধৈর্যের খেলা হলেও এ সংস্করণে এখনও মানিয়ে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডে স্টাইলেই ব্যাটিং করতে পছন্দ করেন ব্যাটসম্যানরা। যার খেসারত প্রায় নিয়মিত ভাবেই দিয়ে আসছে টাইগাররা। সিলেট টেস্টের আগে অধিনায়ক তাই নিজেদের স্বাভাবিক ব্যাটিংকেই সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু মিরপুর টেস্টে কি করবেন তিনি? নিজেই যে আছেন উভয় সংকটে। কারণ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর স্বাভাবিক খেলার উপায় কই?

আবার তাদের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা উল্টো চাপে ফেলে দিতে পারে তাদের। মাহমুদউল্লাহও বলছেন একই কথা, ‘আমাদের আসল চিন্তার জায়গা ব্যাটিং। এই জায়গায় আমরা অন্য সংস্করণে যতো ভালো, টেস্টে ততোটা না। আবার আমরা যদি খুব বেশি চিন্তা করি তাহলে চাপটা আমাদের উপরেই পড়বে। আমাদের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চাইব। আমরা যদি ঐ জিনিসটা করতে পারি, তাহলে আমাদের ভালো করার সুযোগ থাকবে।’

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

1h ago