নির্বাচনে আসার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একাদশ জাতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এর জন্য তারা নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করবে। সরকারবিরোধী এই দুই জোটের ভেতরের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে।
নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে কথা বলতে দুই জোটের শীর্ষ কয়েকজন নেতা আগামীকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সেই সঙ্গে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে ইসির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ব্যাপারেও তারা আলোচনা করতে চান। বৈঠকের জন্য সময় চেয়ে আজ তারা ইসির কাছে চিঠি পাঠাতে পারেন।
জোটের সূত্রগুলো বলছে, ‘তড়িঘড়ি’ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা নিয়েও ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা তাদের অসন্তুষ্টির কথা নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরবেন। এই সূত্রে গত রাতে জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল মাস খানেক পেছানোর অনুরোধ জানিয়ে আজ তারা চিঠি দিবেন।
নির্বাচনে আসা বা না আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল সন্ধ্যায় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতারা বৈঠক করেছেন। আজ দুপুর ১টায় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থান তুলে ধরবেন।
দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশনের অভিমুখে পদযাত্রা করার ঘোষণা আগেই দিয়েছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আলোচনায় অগ্রগতি না হলে আগামী মঙ্গলবার এই পদযাত্রা হতে পারে। আজকের সংবাদ সম্মেলন থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা পদযাত্রার তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন।
গতরাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত এসেছে। ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠক থেকেও অনুরূপ সিদ্ধান্ত এসেছে।
সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়া সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি দল থেকে যেসব নেতা মনোনয়ন পাবেন তাদের চিঠিতে স্বাক্ষর করবেন।
২০ দলীয় জোটের বৈঠকে বিএনপি জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত অন্য শরিকরা তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে নাকি বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করবে। এই সিদ্ধান্তের কথা আজকের মধ্যেই বিএনপিকে জানাতে বলা হয়েছে।
তবে জামায়াত-ই-ইসলামির নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ায় দলটির নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবে নাকি বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে এই সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য বাড়তি একদিন সময় চেয়েছে তারা।
Comments