সাকিবের অনুপস্থিতির সময়টা ‘উপভোগ্য’ তাইজুলের

টেস্টে দলের নিয়মিত পারফর্মার তিনি। কিন্তু আলোয় আসতে পারেন কম। সাকিব আল হাসানের ছায়াতেই বেশিরভাগ সময় ঢাকা পড়ে যান তাইজুল। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেই সাকিব। তাই এই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর জানালেন সময়টা বেশ কাটছে তার।
Taijul Islam
টানা তিন পাঁচ উইকেট নেওয়া তাইজুল ইসলামের উল্লাস। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টেস্টে দলের নিয়মিত পারফর্মার তিনি। কিন্তু আলোয় আসতে পারেন কম। সাকিব আল হাসানের ছায়াতেই বেশিরভাগ সময় ঢাকা পড়ে যান তাইজুল। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নেই সাকিব। তাই এই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন তিনি। টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর জানালেন সময়টা বেশ কাটছে তার।

২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজে টানা তিন ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এর আগে ২০০৫ সালে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ঘরের মাঠে টানা তিন পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন এনামুল হক জুনিয়র। টানা তিন ইনিংসে বাংলাদেশের কোন বোলারের পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি ছিল এই দুটিই। এবার সেখানে ভাগ বসিয়েছেন তাইজুল।

সিলেট টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন। তখনো তার প্রতিক্রিয়া ছিল খুব সাদামাটা। এবারও এমন কীর্তির করার পর কোন রোমাঞ্চ খেলে গেল না তার চেহারায়। কথা বলার সময় আরও মিনমিনে।

তবে তার মূল কাজ বোলিং, বল নিয়েই কথা বলিয়েছেন সারাদিন। সাকিব না থাকায় তিনিই ছিলেন দলের মূল বাঁহাতি স্পিনার। দায়িত্বও ছিল বেশি। সুযোগ পেয়েছেন বেশি বল করার। আর এই কারণেই সময়টা উপভোগ্য তার, ‘আমি অনেক বেশি বোলিং করার সুযোগ পাচ্ছি। সাকিব ভাই থাকলে হয়তো আমার ওপর এত দায়িত্ব পড়ত না। আমি উপভোগ করছি।’

‘ভাল পারফর্মেন্স করলে প্রতিটা ক্রিকেটারের ভাল লাগে। তবে দলটা আগে। দলও এখন ভাল অবস্থানে আছে। সেজন্যও খুশি। ’

 

Comments