এমন ক্যাচ ধরেও নির্লিপ্ত তাইজুল
স্কয়ার লেগ ও মিড উইকেটের মাঝামাঝি অবস্থানে হঠাৎই পাখির মতো ওড়ার চেষ্টা করলেন তাইজুল ইসলাম। উদ্দেশ্য সেঞ্চুরিয়ান ব্রান্ডন টেইলরের ক্যাচ ধরা। ধরলেনও। তাতেই মূলত জিম্বাবুয়ের ফলোঅন নিশ্চিত হয়ে যায়। এমন দারুণ ক্যাচ নেওয়ার পরও আহ্লাদিত নন এ বাঁহাতি স্পিনার।
টেইলরের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ভালোই জবাব দিচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু তাইজুলের ওই ক্যাচেই প্রায় শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের আশা। সংবাদ সম্মেলনে এমন দারুণ ক্যাচ ধরার অনুভূতি জানতে চাওয়া হয় তাইজুলের কাছে। কিন্তু এ ক্যাচ নিয়ে তেমন কোন উচ্ছ্বাসই দেখালেন না তাইজুল, ‘এই ক্যাচ গুলো হয় কি, আপনাকে হয় ধরতে হবে না হয় মিস হবে। আমি ক্যাচ ধরার মন মানসিকতা নিয়েই ডাইভ দিয়েছি।’
এমনকি এমন দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে খুব বেশি উদযাপনও করেননি তাইজুল। স্বাভাবিকভাবে বল শূন্যে ছুড়েছেন। এরপর সতীর্থদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করেছেন। আনন্দটা বেশি হতে পারত ভিন্ন কারণেও। এই টেইলরই ভোগাচ্ছিলেন টাইগারদের। কিন্তু বরাবরই আড়ালে থাকা তাইজুল ছিলেন স্বাভাবিক।
তাইজুলের দারুণ ক্যাচ ধরার দিনে টাইগাররা ক্যাচ মিসও করেছে অনেক। নিজেও এর আগে ব্রায়ান চারির ক্যাচ ছেড়েছিলেন পয়েন্টে। এছাড়া তার বলে ক্যাচ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহীম। তবে এটাকে ম্যাচের অংশ বলেই চালিয়ে দিলেন এ স্পিনার, ‘আমরা হয়তো প্রথম টেস্টে হেরেছি, কিন্তু আমাদের ফিল্ডিং ভাল ছিল। এই ম্যাচেও আমাদের ক্যাচ মিস হয়েছে, কিন্তু ফিল্ডিং যে খুব খারাপ হয়েছে তা নয়। ম্যাচে ক্যাচ মিস হবেই।’
এদিন দেশের হয়ে দারুণ এক রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন তাইজুল। তৃতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে টানা তিন টেস্ট ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখালেন। এর আগে দেশের হয়ে এনামুল হক জুনিয়র ও সাকিব আল হাসান এ কীর্তি গড়েছেন।
Comments