ফুরালো মাহমুদউল্লাহর দীর্ঘ অপেক্ষা

Mahmudullah
দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির পর মাহমুদউল্লাহ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সময়ের হিসেবে আট বছর আট মাস। ক্যারিয়ারের তখন শুরুর দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে হ্যামিল্টনে মাত্র পঞ্চম টেস্টেই পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। এরপরে পেরিয়ে গেল অনেক বছর। ওয়ানডেতে একাধিক সেঞ্চুরি করেছেন, ম্যাচ জিতিয়েছেন। দলের সবচেয়ে সিনিয়রদের একজন হয়ে উঠেছেন। তবু আরেকটি টেস্টে সেঞ্চুরি আসছিল না তার ব্যাট থেকে।

সেঞ্চুরি দূরে থাক। গত ১০ ইনিংস থেকে মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে নেই কোন ফিফটিও। সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করতে হচ্ছে, অথচ ব্যাটে রান নেই। মাহমুদউল্লাহর নিজের জায়গা নিয়েই প্রশ্ন বড় হচ্ছিল। একটা কোন জবাব তাই দিতেই হতো তাকে। অবশেষে টেস্টে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এলো। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগের কোন সেঞ্চুরিই দেশে করেননি, ঘরের মাঠেও তাই প্রথম তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন তিনি। 

বুধবার মাহমুদউল্লাহ যখন নামেন, দলের পরিস্থিতি ছিল বড়ই নাজুক। জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন না করিয়ে ২১৮ রানের লিড নিয়ে সকালে আবার ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। কিন্তু কাইল জার্ভিস আর ডোলান্ড ত্রিরিপানো তছনছ করে দেন টপ অর্ডার। মাত্র ২৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো কাঁপাকাঁপি অবস্থা। দরকার ছিল প্রতিরোধের। অন্তত ভদ্রস্থ একটা লিড এনে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরা।

মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ১১৮ রানের জুটিতে সব শঙ্কা ফুঁৎকারে উড়িয়ে দেন তিনি। দলের প্রয়োজন ছিল দ্রুত রান বাড়ানো। শুরুর চাপ সামলে দুজনেই খেলেছেন সেরকমই। ৬৭ রান করে মিঠুন ফিরলে অধিনায়কই নেন সব দায়িত্ব।

প্রথম ফিফটিতে পৌঁছেছিলেন ৭০ বলে। পরের পঞ্চাশে যেতে লেগেছে আর ৫২ বল। খুব বেশি চার-ছয় মেরেছেন এমনটা নয়। চার বাউন্ডারি আর দুই ছক্কার ইনিংসে বেশিরভাগ রান ছিল দৌড়ে। উইকেটে সারাক্ষণই ব্যস্ত ছিল, ফাঁকা খুঁজে বের করেছেন রান।

অধিনায়কের রানে ফেরার দিনে মিরপুর টেস্ট পুরোপুরি কব্জায় নিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়েকে ৪৪৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে চার সেশন ব্যাট করার চ্যালেঞ্জ দিয়েছে বাংলাদেশ। উইকেট এখনো ব্যাট করার জন্য ভালো হলেও পঞ্চম দিনে নিশ্চিতভাবেই আরও ভেঙ্গে যাবে। স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পাওয়ার কথা। ম্যাচ জিতে সিরিজ সমতায় শেষ করা এখন প্রবল। 

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Fast fashion, fat margins: How retailers cash in on low-cost RMG

Global fashion brands are reaping triple-digit profits on Bangladeshi garments, buying at $3 and selling for three to four times more. Yet, they continue to pressure factories to cut prices further.

12h ago