“সিইসি আশ্বাস দেন কিন্তু, সেগুলো কতটুকু রাখবেন...”

বিরোধীদলের নেতারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেন, বিভিন্ন দাবি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আশ্বাসও দেন কিন্তু সেগুলো কতটুকু রাখা হয় তা জনগণ বিবেচনা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ (১৪ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনে সিইসি-র সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আলোচনা করি, দাবি জানাই। তারা আশ্বাস দেন কিন্তু, সেগুলো কতটুকু রাখবেন তা জনগণ বিবেচনা করবে।”

তিনি আরও বলেন, “বিরোধী দলের নির্বাচনে থাকা না থাকা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকারের আচরণ ও ব্যবহারের ওপর।”

“প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা নির্বাচন তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে বলেছিলাম। তবে কমিশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানিয়েছে,” যোগ করেন বিএনপি নেতা।

ইভিএম ব্যবহার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা কমিশনকে ইভিএম ব্যবহার না করার কথা জানিয়েছি তারা জানিয়েছে ইভিএম বড় আকারে ব্যবহার করা হবে না। শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন এলাকায় সীমিত আকারে ব্যবহার করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।”

“এছাড়াও, নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের এও বলা হয়েছে যে আমরা যদি প্রমাণ করতে পারি- ইভিএম নিরাপদ না তাহলে তারা এটি বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।”

পুলিশ ও জনপ্রশাসনে রদবদলের বিষয়ে বিরোধী দলের দাবিগুলোও কমিশন বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল।

কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক কারাবন্দীদের তালিকা চাওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বাছাই করছেন যা নির্বাচন আচরণবিধির লঙ্ঘন। এ বিষয়টি কমিশনকে জানানো হয়েছে। আর কমিশন বলেছে তারা বিষয়টি দেখবে।”

এদিকে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।”

ঐক্যফ্রন্টের সব দাবি বিবেচনা করা হবে বলে কমিশন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এমনটিও জানান ড. কামাল।