অস্ট্রেলিয়ার সেই ম্যাচ সাহস দিচ্ছে জিম্বাবুয়েকে
মাত্র কদিন আগেই দুবাইতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রায় ১৪০ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সে ম্যাচে অবিস্মরণীয় ব্যাটিং করেছিলেন উসমান খাজা। বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট ড্র করতে এখন ওই ম্যাচ থেকেই প্রেরণা নিচ্ছে জিম্বাবুয়েকে। ম্যাচ বাঁচাতে যে জিম্বাবুয়েকে দেখাতে হবে সেরকমই দৃঢ়তাই।
চতুর্থ দিনের চা-বিরতিতেই ইনিংস ঘোষণা করে ফেলে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ৪৪৩ রানে। এত বিপুল রান তাড়া করতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। জিম্বাবুয়ের লক্ষ্য শেষ দিনে ৮ উইকেট নিয়ে তিন সেশন পার করে দেওয়া।
টেস্টের পঞ্চম দিনের উইকেটে ৮ উইকেট দিন পার করে দেওয়াও ভীষণ কঠিন কাজ, কিন্তু অসম্ভব নয় বলেই কোচ লালচাঁন রাজপুত দেখছেন আশা, ‘ক্রিকেট খেলাটাই অনিশ্চয়তার। আপনি জানতে পারবেন না কি ঘটবে। শুধু দুয়েকটা বড় জুটির দরকার হয়। এমনটা ঘটেই থাকে। কিছুদিন আগে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তানের ম্যাচটি যদি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে তারা ম্যাচটি বাঁচিয়েছিল। খাজা পুরো দিন ব্যাট করেছিল। তাই আমরা আশা করব কোন একজন দাঁড়িয়ে যাবে এবং একটি সেশন ব্যাট করবে।
‘এটা শুধুই তিন সেশনের ব্যাপার। সুতরাং এক সেশন যদি ব্যাট করতে পারেন, তাহলে ধীরে ধীরে এটা সম্ভবপর হবে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক থাকব এবং আশা করছি ম্যাচটি বাঁচাতে পারব।’
আশা তো দেখছেন। কিন্তু শেষ দিনে তো পিচ আরও ভাঙবে, স্পিনাররা পাবেন টার্ন। আচমকা লাফাবে বল। রাজপুত তার শিষ্যদের অত কিছু না ভাবিয়ে কেবল মানসিকভাবে শক্ত রাখতে চাইছেন, ‘আমরা এখন পিচ নিয়ে ভাবছি না। এখন শুধু মানসিক প্রস্তুতি এটাই থাকতে হবে যে বলের গুণাগুণ যাচাই করে খেলতে হবে। পিচ কখনোই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। সুতরাং আসল ব্যাপার হচ্ছে নিজের ডিফেন্স, প্রবৃত্তির ওপর ভরসা করে বলের গুণ বিচার করে খেলা। ’
‘বল যদি অসংলগ্ন আচরণ করে কিংবা অন্যরকম কিছু হয় সেটা হবে দুর্ভাগ্যের। কিন্তু আপনি সেখানে অন্তত চেষ্টা করতে পারেন।’
Comments