বিশ্রাম উপেক্ষা করে মুশফিকের আড়াইঘন্টা
![Mushfiqur Rahim Mushfiqur Rahim](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/_f750466.jpg?itok=gmEVAeVc×tamp=1542720719)
চট্টগ্রাম এসে দুদিন অনুশীলনের পর মঙ্গলবার বিশ্রাম ছিল বাংলাদেশ দলের। ‘বিশ্রাম’, ‘বিরতি’ শব্দ শোনে অনেকেরই আনন্দ হয়। বাংলাদেশ দলে একজন অবশ্য একেবারেই ভিন্ন। ‘বিশ্রাম’ শুনলে আনন্দে ঝিলিক দেওয়ার বদলে চেহারা হয়ত বিষণ্ণই হয়ে যায় মুশফিকুর রহিমের। বিশ্রামের দিন তাই শুয়ে বসে নয়, মুশফিক সোজা চলে যান মাঠে। ব্যতিক্রম হয়নি এবারও।
‘আনুষ্ঠানিক বিশ্রামের দিন’ দুপুর ১টায় অফ স্পিনার নাঈম হাসানকে নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম হাজির মুশফিক। স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশী আর কয়েকজন নেট বোলার নিয়ে শুরুতেই ব্যাট নিয়ে নেমে যান নেটে।
অফ স্পিনার নাঈম হাসান, লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বল তো খেলেছেনই। ডান হাতি ও বাঁহাতি দুই মিডিয়াম পেস নেট বোলারকেও খেলেছেন অনেকক্ষণ। মাঝে এদের একজনের একজনের গতি কমে যাচ্ছিল দেখে বললেন, ‘কি টায়ার্ড লাগছে?’। ফের চাঙ্গা করে চালিয়ে গেলেন অনুশীলন।
এতেও শেষ নয়। বোলিং মেশিনে গ্রানাইট স্লাবে আরও আধঘণ্টা চালিয়েছেন পুল শট খেলার অনুশীলন। ব্যাটিং অনুশীলন শেষ করে আরও আধাঘণ্টা চলেছে তার উইকেটকিপিং ঝালাই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর নিজের এই টানা অনুশীলনের অভ্যাস নিয়ে বিশদ বলেছিলেন তখন, মনোযোগের ব্যাপারটা সাধনার ব্যাপার। আর এটা সব সময় আসে না। আমি অনুশীলন সেভাবেই করা চেষ্টা করি যেন ম্যাচে এই ব্যাপারটা পাই। চেষ্টা করি মনোযোগ ধরে রেখে যত বেশিক্ষণ সম্ভব নেটে ব্যাটিং করার। যদি আউট না হলে ব্যাটিং করতে পারি সেটা আমাকে ম্যাচ খুব সাহায্য করে। একেক জনের প্রস্তুতি একেক রকম, তো আমার প্রস্তুতিটা এরকম। এটা আমাকে বড় একটা আত্মবিশ্বাস দেয় যে, আমি আমার কাজটা করেছি সব ঠিক থাকলে আশা করি ম্যাচেও বাস্তবায়ন করতে পারব।'
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো সেরা বিশে ঢুকেছেন তিনি। এমন নিষ্ঠাই তাকে হয়ত প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নিয়ে যাবে সেরা দশে।
বিশ্রামের দিনে দুইভাগে ভাগ হয়ে চারজন এসেছিলেন অনুশীলনে। নাঈমকে নিয়ে মুশফিক উঠে যাওয়ার পর টেস্ট দলে প্রথমবার ডাক পাওয়া সাদমান ইসলামকে নিয়ে এলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আধা ঘণ্টার মতো ব্যাটিং অনুশীলন করে খানিকক্ষণ বোলিং করেছেন সাকিব। দলে নতুন আসা সাদমানকে নিয়ে আলাদা করে কাজ করেছেন কোচ স্টিভ রোডস। পরে এই তরুণ সাংবাদিকদের শুনিয়েছেন নিজের প্রস্তুতি আর স্বপ্নের কথা।
Comments