বাংলাদেশের স্পিনের জবাব পেস দিয়ে দেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ওদের পেস বোলিংয়ের সামনে স্রেফ উড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে তাই ঘূর্ণি বল দিয়ে ক্যারিবিয়ানদের কাবু করতে চাইবে সাকিব আল হাসানের দল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বললেন এখানেও পেস বোলিং দিয়েই জবাব দিতে তৈরি তারা।
বুধবার সকালে মাঠে এসেই উইকেট দেখতে যায় উইন্ডিজ। দুই পেসার শ্যানন গ্যাব্রিয়েল আর কেমার রোচকে দেখা গেছে আলাদা করে সময় নিয়ে উইকেট দেখতে। বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভয়ংকর ছিলেন এই দুজন। মাত্র ৫ ওভার বল করে চোটে পড়ে ছিটকে গেলেও রোচ ওই সময়েই নিয়ে ফেলেছিলেন ৫ উইকেট। দুই টেস্টে গ্যাব্রিয়েল নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। তবে সবচেয়ে যিনি ভুগিয়েছিলেন তিনি নিয়মিত অধিনায়ক জেসন হোল্ডার এবার চোটের কারণে দলে নেই।
১৬ উইকেট নেওয়া হোল্ডার থেকে বাঁচলেও ক্যারিবিয়ান স্কোয়াডে পেস আক্রমণ যথেষ্ট ভীতি জাগানিয়া। কিন্তু সেটা বাংলাদেশের মাঠেও কি কার্যকর হবে? উপমহাদেশের মাঠে স্পিনাররাই যে রাজত্ব করেন। সব জেনেই নিজেদের স্কিলের উপর আস্থা রাখছেন ব্র্যাথওয়েট, 'উইকেট অনেক শুষ্ক হবে। স্পিন ধরবে অনেক, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মানে এই না যে পেস এখানে কাজ করবে না। আমরা যে চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়ি না কেন, আমাদের সামলাতে হবে। এটা অনেকটা বল দেখ আর মারো, এমন। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনা মেনে চলি, তাহলে এগিয়ে যাবো।'
'আমি মনে করি আমাদের পেসাররা এখানে ভালোই করবে। ক্যারিবিয়ান থেকে খুব যে ভিন্ন তা কিন্তু না। আমি পেসারদের পক্ষেই ভোট দিব। এখনও বিশ্বাস করি পেস বেশ প্রাধান্য রাখবে।'
ক্যারিবিয়ান বোলিং আক্রমণের মূল শক্তি পেস, বাংলাদেশের যেমন স্পিন। সেটা যে কন্ডিশনেই হোক। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই দেখা গেছে তার প্রমাণ। পেস বান্ধব পিচে ক্যারিবিয়ান পেসাররা যেখানে ৩৮ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা সব মিলিয়ে নিতে পেরেছিলেন মাত্র ৮ উইকেট। অথচ বাংলাদেশের স্পিনাররা ওইসব পিচ থেকেও তুলেছিলেন ২২ উইকেট।
পরিসংখ্যান বলে উইকেট-কন্ডিশন যেমনই হোক দুদলের লড়াই মানে স্পিন বনাম পেসেরও।
Comments