বিসিএলে লিটনের ব্যাটে রান
চট্টগ্রাম টেস্টের দল থেকে বাদ পড়ার পর প্রস্তুতি ম্যাচেও রান পাননি। বিসিএলে খেলতে সিলেটে গিয়ে সেখানেও প্রথম ইনিংসে ফিরতে হয় খালি হাতে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসেই লিটন মেলেছেন ডানা। মধ্যাঞ্চলের হয়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে রান, যদিও ইনিংস শেষ হয়েছে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার হতাশায়।
শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে লিটনের ৮৪ রানের ইনিংসে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৪ রান করে দক্ষিণাঞ্চলকে ২৬৬ রানের লক্ষ্য দেয় মধ্যাঞ্চল। জবাবে ২ উইকেটে ৩৮ রান করে দিন শেষ করেছে দক্ষিণাঞ্চল।
আগের দিনের অপরাজিত দুই ওপেনার মধ্যাঞ্চলকে এনে দেন ভালো শুরু। দলের ৫৫ রানে গিয়ে সাইফ হাসানকে হারায় দল। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে আরেক জুটি গড়ে দলকে টানেন লিটন। কিন্ত লাঞ্চের পর ফেরেন দুজনেই। ২৪ রান করে আউট হন শান্ত। ওয়ানডে মেজাজে খেলে সেঞ্চুরির দিকে যাচ্ছিলেন লিটন। ৯৫ বলে তার ৮৪ রানের ইনিংস থামে অফ স্পিনার মেহদী হাসানের বলে।
ওই মেহেদীই ধস নামান মধ্যাঞ্চলের ইনিংসে। উইকেট পতনের স্রোতের বিরুদ্ধে ব্যাট করছিলেন শুভাগত হোম। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৮৫ রানের মাথায় তাকে ফেরানোর পর ফের বিপদে পড়ে মধ্যাঞ্চল। শেষ উইকেটে ৭৯ রান যোগ করে শহিদুল ইসলাম ও রবিউল হক দলকে পাইয়ে দেন চ্যালেঞ্জিং লিড।
শেষ বিকেলে পেসার আবু হায়দার রনি এনামুল হক আর ফজলে মাহমুদকে তুলে নিয়ে এগিয়ে রেখেছেন মধ্যাঞ্চলকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ২৮২
দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস: ওভারে ২৮১
মধ্যাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংস: ৭৬.৪ ওভারে ২৬৪ (আগের দিন ২/০) (লিটন ৮৪, সাইফ ৮, শান্ত ২৪, মজিদ ৪, মার্শাল ৪, শুভাগত ৩৬, তাইবুর ০, মোশাররফ ১১, শহিদুল ৪১*, আবু হায়দার ০, রবিউল ৩৭; শফিউল ২/৬১, আল আমিন ০/২১, রুবেল ১/৩৫, রাজ্জাক ২/৬৩, মেহেদি ৫/৭২)।
দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস: (লক্ষ্য ২৬৬) ৯ ওভারে ৩৮/২ (শাহরিয়ার ১১*, এনামুল ৫, ফজলে রাব্বি ১১, তুষার ১০; আবু হায়দার ২/১৭, শহিদুল ০/৬, রবিউল ০/৪, মোশাররফ ০/৫, তাইবুর ০/৫)।
Comments