উইকেট অবশ্যই আনপ্লেয়েবল ছিল না : সাকিব
প্রথম দিন থেকেই উইকেটে লাটিমের মতো ঘুরেছে বল, ব্যাটসম্যানদের নাচিয়ে আচমকা লাফিয়েছে বল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ তিনশো পেরুলেও খেলা শেষ হয়েছে আড়াইদিনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ধসের দেখা গেছে দুদলেরই। তবে সাকিব আল হাসান বলছেন, এই উইকেটও ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলার মতই ছিল।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩২৪ রানের জবাবে ২৪৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ধসে পড়ে দুদলই। ৫৫ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ করে ১২৫ রান। আর ১১ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করতে পারে ১৩৮ রান। বাংলাদেশের কাছে তাদের হার ৬৪ রানের।
দুদলের ব্যাটসম্যানদেরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার দৃশ্য যেমন দেখা গেছে আবার টেল এন্ডারদেরও জুটি গড়তে দেখা গেছে একাধিকবার। সব মিলিয়ে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের মত, ‘প্রতিটা উইকেটই আমার কাছে মনে হয় ভিন্ন। আর আনপ্লেয়েবল বলবো না কারণ তা না হলে নবম উইকেট জুটিতে ৫০-৬০ রানের হতো না। কাজে আনপ্লেয়েবল অবশ্যই ছিল না। ’
টেস্টে ঘরের মাঠে সব দলই ফরমায়েশি উইকেট বানানোর সুবিধা পায়, সাফল্যও পায়। এই রীতি আগে অনুসরণ করার সাহস ছিল না বাংলাদেশের। কিন্তু দু’বছর থেকেই নিজেদের শক্তির জায়গায় মেনে উইকেট বানাচ্ছে বাংলাদেশও, আসছে সাফল্য।
আগে বাংলাদেশের উইকেট হতো ফ্ল্যাট। রান আসত ভুরি ভুরি। নিজেদের ব্যাটিং দুর্বলতায় প্রতিপক্ষই পেয়ে যেত সুবিধা। ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শুরু টার্নিং উইকেট বানানো। এরপর টার্নিং উইকেটে বাংলাদেশ নাজেহাল করেছে অস্ট্রেলিয়াকেও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের রীতি মেনে ঘরের মাঠে এমন উইকেটই উচিত বলে মনে করেন সাকিব, ‘দেখুন আমাদের ঘরের মাঠে যে ধরনের উইকেট হওয়ার উচিত কিংবা দরকার, সেই ধরনের উইকেটই তারা (কিউরেটররা) বানানোর চেষ্টা করেছে। উইকেট যেমনই আমরা যদি ভালো জায়গায় বল না করি তাহলে কিছুই কাজে আসে না। এগুলো আসলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল।’
ঢাকা টেস্টেও বাংলাদেশ এমন উইকেটই চাইতে পারে। কিন্তু উইকেট নিয়ে এত আলাপ আবার পছন্দ হচ্ছে না অধিনায়কের, ‘উইকেট তৈরি করবেন কিউরেটর। আমরা কি প্রত্যাশা করি তেমন গুরুত্বপূর্ণ না। এগুলো নিয়ে বেশি কথাও বলা উচিত না। সেটা আমাদের খুবই ভেতরের কথা, আর প্রাইভেট থাকলে আমি খুশি হবো।’
Comments