টেস্টে গ্যালারিতে দর্শক খরার যে কারণ দেখছেন সাকিব
শনিবার দুপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম টেস্টে হারিয়ে যখন জয়োৎসব করছে বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গ্যালারীতে তখন বড়জোর হাজার তিনেক দর্শক। অথচ ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলে থাকত না তিল ধারণেই ঠাঁই।
ঘরের মাঠে ওয়ানডে , টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হলেই টিকেট নিয়ে তৈরি হয় হাহাকার। ভরপুর গ্যালারীর বাইরেও হাজারো দর্শককে বাড়ি ফিরতে হয় মাঠে ঢুকতে না পারায় হতাশায়। টিকেট কালোবাজারি নিয়ে নানা কাণ্ডের তো সীমা নেই। অথচ টেস্ট ম্যাচে গ্যালারি করে খাঁ খাঁ। সাকিব আল হাসানরা প্রায় খালি মাঠেই উৎসব করেন বড় বড় সাফল্যের। টেস্টে কেন দর্শক নেই, এই কারণ নিয়ে ভেবেছেন সাকিবও।
ক্রিকেটের আইনপ্রণেতা সংস্থা মেরিলিবোর্ণ ক্রিকেট ক্লাব(এমসিসি)’র বর্তমান ক্রিকেট কমিটির সদস্য সাকিবও। সেখানার নানান কর্মসূচিতে গিয়ে টেস্টের দর্শকহীনতা নিয়ে জেনেছেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রায় ফাঁকা গ্যালারিতে হারিয়ে আসার পর জানালেন এই নিয়ে নিজের ভাবনা, ‘আমি এমসিসির ক্রিকেট কমিটির সদস্য হিসেবে কিছু ইন্টারেস্টিং আর্টিকেল দেখেছি। আমি মনে করি, টেস্টে দর্শক না হওয়ার একটা বড় কারণ খুবই কম প্রচার হওয়া। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে যে প্রচার-প্রচারণা হয় টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে তার এক চতুর্থাংশও হয় না। আর দর্শক মাঠে আনতে প্রচার প্রচারণা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি আমি।’
টেস্টে দর্শকহীনতা কেবল বাংলাদেশেই নয়, ক্রিকেটের বিপুল জনপ্রিয়তার দেশ ভারতেও একই অবস্থা। তবে ব্যতিক্রম আছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায়। টেস্ট ম্যাচেও ইংল্যান্ডের গ্যালারি দেখা যায় ভরপুর। অ্যাডিলেডের অর্ধলক্ষাধিক আসনের গ্যালারিও ভরে যায় অস্ট্রেলিয়া টেস্ট খেলতে নামলে। অথচ ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ক্রিকেট নয়। এমনকি প্রথম দুইয়েও ক্রিকেটের থাকার অবস্থা নেই।
বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মনে করেন নানান দিক বিচার করে আইসিসিকেই এই জায়গায় কাজ করার সুযোগ আছে, মানুষকে মাঠে আনতে নিতে হবে আরও কোন বিশেষ উদ্যোগ, ‘আমার মনে হয়, এটা এমন জায়গা যা নিয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা কাজ করতে পারে। আর্থিক দিক একটা ব্যাপার। একটা সুবিধা আপনার থাকতে হবে, সেটা না থাকলে আপনি কেন এটা করবেন। আর পাঁচ দিন একজন মানুষের টেস্ট দেখাও কষ্টকর। আমার মনে হয়, এই ব্যাপারে আমাদের অনেক বেশি প্রচার-প্রচারণার জায়গা আছে।’
Comments