পুলিশ বলছে, একাধিক মামলা ছিল: রফিকুল ইসলাম
বিএনপি বলছে তাদের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। ‘গায়েবি’ মামলায় যারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাচ্ছেন, তাদের অন্য মামলায় আবার গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।
তফসিল ঘোষণার পরও সারাদেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে বিএনপি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিএনপির কাছ থেকে আমরা এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি এবং পত্র-পত্রিকা পড়েও বিষয়টি জেনেছি। পুলিশ আসলে কোন মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, তা কিন্তু তারা (বিএনপি) সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেনি। কোনো অভিযোগের ক্ষেত্রে স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকলে তো আমরা এ বিষয়টিতে কিছু করতে পারব না।”
‘গায়েবি’ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েও বিভিন্ন ‘মিথ্যা’ মামলায় ফের গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজবাড়ীর জেলা বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে পুলিশকে এসব ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছি। পুলিশ বলছে, আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ছিল। অনেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি ছিল।”
“এখন গ্রেপ্তার কেন, আগে কেন করেননি? আমাদের এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা এতোদিন পলাতক ছিলেন। নির্বাচন উপলক্ষে অনেকেই প্রকাশ্যে আসায় পুরনো মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে,” যোগ করেন নির্বাচন কমিশনার।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, পুলিশ ইসির নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে রফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যাবতীয় নিরাপত্তার কাজ করছে পুলিশ। এক্ষেত্রে ইসির নির্দেশই মেনে চলছে তারা। কিন্তু, এর বাইরেও পুলিশের আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখাও তাদের কর্তব্য। সেক্ষেত্রে পুলিশ তার আইন অনুযায়ীই চলছে।”
রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার এবং হয়রানি বন্ধে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কাছ থেকে অভিযোগ সম্বলিত চিঠির প্রেক্ষিতে ইসির করণীয় সম্পর্কে রফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচন কমিশন আইনের মধ্যে আছে, আইন অনুযায়ীই কাজ করছে। রাজনৈতিক মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার এবং হয়রানি না করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও, কোনো পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে এ ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে ইসি।”
Comments