মনোনয়ন পেলেন বদির স্ত্রী, রানার বাবা

কক্সবাজারের ইয়াবা গডফাদার হিসেবে পরিচিত আব্দুর রহমান বদির বদলে তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী ও টাঙ্গাইলে হত্যা মামলার আসামি আমানুর রহমান খান রানার বদলে তার বাবা আতাউর রহমান খান মনোনয়ন পেয়েছেন।
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসনের (টেকনাফ-উখিয়া) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ আবদুর রহমান বদি এবং টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা মনোনয়ন পাননি। তবে তাদের পরিবারের সদস্যদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। আব্দুর রহমান বদির বদলে তার স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী ও আমানুর রহমান খান রানার বদলে তার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আতাউর রহমান খান মনোনয়ন পেয়েছেন।

বদি আর রানা যে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না সেটা কিছুদিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত ২০ নভেম্বর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দুজনের ব্যাপারে কথা বলেছিলেন। তবে সেদিনই তিনি বলে দিয়েছিলেন বদি ও রানার পরিবর্তে তাদের পরিবারের ভেতরেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। শাহীন আক্তার চৌধুরী ও আতাউর রহমান খানকে মনোনয়ন দেওয়ার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেছিলেন, ‘ঘরে কি সবাই অপরাধী, আপনি অপরাধী হলে কি সবাই অপরাধী বা পরিবারের সব লোক খারাপ? বদি সম্পর্কে যে কন্ট্রোভার্সি আছে, তার কোনো প্রমাণ আছে? কন্ট্রোভার্সি থাকায় অলটারনেটিভ বেছে নিয়েছি।’

আব্দুর রহমান বদি তার এলাকায় মাদকের গডফাদার হিসেবে পরিচিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা একাধিক তালিকায় শীর্ষ স্থানে তার নাম এসেছে। দেশজুড়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানের মধ্যে সর্বশেষ যে তালিকাটি করা হয় তাতেও কক্সবাজারের শীর্ষ ৭৪ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে এক নম্বরে বদির নাম রয়েছে। বদির সঙ্গে তার পাঁচ ভাই, ভাগনে, বেয়াই, ফুফাতো ভাইসহ বেশ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির নামও রয়েছে এই তালিকায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একাধিক বাহিনীর তালিকায় বদিসহ এই পরিবারের অন্তত ২৬ জনের নাম আছে।

অন্যদিকে বর্তমান সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যামামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় এমপি রানা ও তার ভাইদের নাম বের হয়ে আসে।

Comments

The Daily Star  | English

Two S Alam firms evaded Tk 3,500cr in VAT: NBR

S Alam Vegetable Oil Ltd and S Alam Super Edible Oil Ltd have unpaid value added tax (VAT) and consequent penalty worth over Tk 7,000 crore, as they allegedly evaded VAT through various means, including by presenting lower purchase and sales data in VAT returns between 2019 and 2022, according to an audit by the NBR’s VAT wing.

11h ago