সাফল্য এলে ‘স্পিন কোয়াট্রেট’ কেন নয়?

ষাট-সত্তরের দশকে ভারতীয় দলে খেলতেন চার স্পিনার এরাপল্লি প্রসন্ন, শ্রীনিবাস ভেংকটরাঘবন, ভগবত চন্দ্রশেখর আর বিষেন সিং বেদি। এই কম্বিনেশনকে ডাকা হতো ‘স্পিন কোয়াট্রেট’ বা স্পিন চতুষ্টয় বলে। ঘরের মাঠে তাদের ঘূর্ণিতে নাজেহাল হতো সফরকারী দলগুলো। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চার স্পিনার দিয়ে ঘায়েল করার পর বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস বলছেন, সাফল্য পেলে তারাও ওই পথে কেন হাঁটবেন না?
Shakib-Taijul-Miraj-Nayeem

ষাট-সত্তরের দশকে ভারতীয় দলে খেলতেন চার স্পিনার এরাপল্লি প্রসন্ন, শ্রীনিবাস ভেংকটরাঘবন, ভগবত চন্দ্রশেখর আর বিষেন সিং বেদি। এই কম্বিনেশনকে ডাকা হতো ‘স্পিন কোয়াট্রেট’ বা স্পিন চতুষ্টয় বলে। ঘরের মাঠে তাদের ঘূর্ণিতে নাজেহাল হতো সফরকারী দলগুলো। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চার স্পিনার দিয়ে ঘায়েল করার পর বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস বলছেন, সাফল্য পেলে তারাও ওই পথে কেন হাঁটবেন না?

এমনিতে ঘরের মাঠে এক পেসার আর  তিন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে খেলে আসছিল বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশ নামে চার বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে। এরমধ্যে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আর তাইজুল ইসলাম বাঁহাতি স্পিনার। বাকি দুজন নাঈম হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ অফ স্পিনার।

সাফল্য পান চারজনই। দুই ইনিংসে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ে শুরুর ধস নামানোর কাজ সারেন সাকিব, তাইজুল। মিরাজ উভয় ইনিংসে আনেন ভীষণ দরকারি তিন ব্রেক থ্রো। আর অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়েসী হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডই গড়ে বসেন নাঈম।

মিরাজ, নাঈম দুজনেই অফ স্পিনার হলেও বোলিং ধরণের পার্থক্য টেনে কোচ বললেন বৈচিত্র্যের কারণেই তারা একসঙ্গেই একাদশে থাকতে পারেন, ‘নাঈম অসাধারণ এক সম্পদ। ওই বয়সে অভিষেকে পাঁচ উইকেট, অবিশ্বাস্য। যেভাবে সে চার স্পিনারের মধ্যে নিজেকে ফিট করে নিয়েছে তা দারুণ। সে মিরাজ থেকে ভিন্ন তাই দুজনই একসঙ্গে খেলতে পারে। নাঈমের উচ্চতা আর বাউন্স আছে, যা মিরাজ থেকে তাকে আলাদা করে।’

স্পিনে দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ‘ফরমায়েশি’ টার্নিং উইকেটে চার স্পিনারের ফাটকা কাজে লাগানো গেল। তাই বলে এমনটা কি স্বাভাবিক, পরেও চলতে পারে? এই জায়গায় বাংলাদেশ কোচ সত্তর-আশির দশকের প্রতাপশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে ফেরত গেলেন, ‘ইতিহাস বলে টেস্টে বেশিরভাগ সময় দুইপ স্পিনার, তিন পেসার আর এক অলরাউন্ডার নিয়ে খেলা হয়ে আসছে। কিন্তু যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার পেসার এবং কোন স্পিনার ছাড়া নামত ওটাই তাদের ধরণ হয়ে পড়েছিল। কাজেই আপনি যদি মনে করেন চার স্পিনার নিয়ে খেলাই ঠিক পথ, এটাই আপনার আগ্রাসনের ধরণ। তাহলে কেন নয়?’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago