সেই মরিনহোকেই রিয়ালে চাইছেন সমর্থকরা

সান্তিয়াগো সোলারির হাতে পড়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। তাতে প্রাণ ফিরে পেয়েছিলেন ক্লাবের সমর্থকরা। তবে দুইদিন আগে পুঁচকে এইবারের কাছে রীতিমতো উড়ে গেছে সোলারির শিষ্যরা। তাই সমর্থকরা আবারও হতাশ। সে ম্যাচ শেষ না হতেই মরিনহোকে ক্ষুদে বার্তায় আবার রিয়ালে ফেরার অনুরোধ করেছেন তারা।

জুলেন লোপেতেগির অধীনে ধুঁকতে থাকা দলটির দায়িত্ব অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে নিয়েছিলেন সোলারি। টানা চার ম্যাচে জয় তুলে নেওয়ায় তাকেই দলের স্থায়ী কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর প্রথম ম্যাচেই শনিবার এইবারের মাঠে ৩-০ গোলের বড় ব্যবধানেই হারে রিয়াল। আর ম্যাচ শেষে অনেক ভক্তই মরিনহোকে মেসেজ দিয়েছেন ‘দ্রুত ফিরে আসুন’ লিখে। ইংলিশ গণমাধ্যম দ্য মিরর এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে।

শুধু ক্ষুদে বার্তাই নয়, বেশ কিছু সমর্থক মাঠে ব্যানার নিয়ে গিয়েছিলেন সে ম্যাচে। তাতেও মরিনহোকে উদ্দেশ্য করে লেখা ছিল ‘দ্রুত ফিরে আসুন’। আলাদা আলাদা ব্যানারের কয়েকটায় এ পর্তুগিজ কোচের নাম ছিল, আর কয়েকটায় ছিল তার ছবি।

অথচ রিয়াল মাদ্রিদে মরিনহোর সাফল্য আহামরি কিছু নয়। ২০১০ সালে রিয়ালে যুক্ত হয়েছিলেন মরিনহো। তিন বছর কাজ করার পর বাজে পারফরম্যন্সের জন্য ২০১৩ সালে বরখাস্ত করা হয়। এ সময়ে একটি লা লিগা, একটি কোপা দেল রে ও একটি সুপার কোপা জিতেছিলেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা শেষ মৌসুমে ট্রফিশূন্য ছিল দলটি। আর সে মৌসুমে ছয়টি শিরোপা যেতে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা।

এরপর যোগ দেন ইংলিশ ক্লাব চেলসিতে। দুই বছর না যেতেই সেখান থেকেও ছাঁটাই হন তিনি। এরপর যোগ দিয়েছেন আরেক ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তবে সুখে নেই এ জায়ান্ট ক্লাবেও। তার অধীনে সংগ্রাম করছে ক্লাবটি। তার উপর দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গেও খুব একটা সুসম্পর্কও নেই তার।  

ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে রিয়াল। লিগের এক তৃতীয়াংশ শেষে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বর অবস্থানে দলটি। সবচেয়ে বড় কথা ১৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ মাত্র ২০ পয়েন্ট। তবে শিরোপা লড়াই থেকে এখনও ছিটকে যায়নি তারা। কারণ শীর্ষে থাকা সেভিয়ার সঙ্গে তাদের ব্যবধান ৬ পয়েন্ট।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

1h ago