বিএনপির বিতর্কিত কয়েকজন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বিকাল থেকে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া শুরু করেছে বিএনপি। আজ (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত যেসব আসনে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০০১ ও ২০০৮ সালের পুরনো প্রার্থীদের অধিকাংশই রয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বিকাল থেকে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া শুরু করেছে বিএনপি। আজ (২৭ নভেম্বর) পর্যন্ত যেসব আসনে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ২০০১ ও ২০০৮ সালের পুরনো প্রার্থীদের অধিকাংশই রয়েছেন।

গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়নপ্রাপ্তদের হাতে চিঠি তুলে দেন। এর মধ্যে, চারদলীয় জোট সরকারের সময় বিতর্কিতদের অনেকেই আছেন। এবার অনেক আসনেই কৌশলগত কারণে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।

বিএনপি থেকে মনোনয়নের চিঠি প্রাপ্তদের মধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত আবদুল আলীমের ছেলে ফয়সাল আলীমও রয়েছেন। তাকে জয়পুরহাট-১ আসনের প্রার্থী করা হয়েছে। একইসঙ্গে এই আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জয়পুরহাট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানকেও দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, নানান ঘটনায় বিতর্কিত আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মওলা রনি। গতকাল বিএনপিতে যোগ দিয়েই তিনি পটুয়াখালী-৩ আসনের মনোনয়নের চিঠি পান। এর আগে, পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাংসদ নির্বাচিত হন। পরে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ২০১৪ সালের মতো এবারের নির্বাচনেও তাকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। এমপি থাকাকালীন নানা কারণে তিনি বারবার বিতর্কিত হয়েছেন।

চারদলীয় জোট সরকারের সময়েই ২০০৪ সালে বিএনপির ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আমিনুল হক, ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং তখনকার সাংসদ নাদিম মোস্তফার বিরুদ্ধেও জেএমবি নেতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা করার অভিযোগ ছিল। এবারও এই তিনজন দলীয় মনোনয়ন পেলেন।

২০০৪ সালের এপ্রিল-মে মাসে রাজশাহী অঞ্চলের বাগমারা, রানীনগর ও আত্রাই উপজেলায় বাংলা ভাইয়ের নেতৃত্বে জঙ্গিরা ‘সর্বহারা’ দমনের নামে হত্যা-নির্যাতনসহ অরাজকতা কায়েম করে। বিএনপি আমলেই ২০০৬ সালের মার্চে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বাংলা ভাই টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন (টিএফআই) সেলে যে জবানবন্দি দেন, তাতে আমিনুল হক, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার ও নাসিম মোস্তফার সহযোগিতা পাওয়ার কথা বলেছিলেন।

ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, সংস্কারপন্থী বলে পরিচিত প্রায় সবাই মনোনয়ন পেয়েছেন। এর মধ্যে আবু হেনা (রাজশাহী-৪), আলমগীর কবির (নওগাঁ-৬), জহিরউদ্দিন স্বপন (বরিশাল-১), সাখাওয়াত হোসেন বকুল (নরসিংদী-৪) এবং শহীদুল হক জামালকে (বরিশাল-২) মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়েছে। এসব আসনেও মনোনয়ন তালিকায় দুটি করে নাম রয়েছে।

তালিকায় দেখা গেছে, নেতাদের অনেকেই স্ত্রীকে বিকল্প প্রার্থী করেছেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী সুরাইয়া আখতার, শহীদুল আলম তালুকদারের স্ত্রী সালমা আলম, রহুল কুদ্দুস তালুকদারের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন মনোনয়নের চিঠি পেয়েছেন। এছাড়াও, কয়েকজন প্রার্থী তাদের ছেলেদের বিকল্প প্রার্থী করে রেখেছেন।

অপরদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম এবং সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচন করছেন না।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago