‘মাথাব্যথার’ নাম ওপেনিং জুটি
মিরপুর টেস্টে শুক্রবার সাদমান ইসলামের অভিষেক হলে গত ১১ টেস্টে নবম ওপেনিং জুটির দেখা পাবে বাংলাদেশ। প্রায় প্রতি টেস্টেই ভিন্ন, ভিন্ন ওপেনিং জুটি নামানো বলে দিচ্ছে সাদা পোশাকে কতটা নড়বড়ে বাংলাদেশের শুরুর জুটি।
এশিয়া কাপে চোটে পড়ার পর থেকেই দলের বাইরে তামিম ইকবাল। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে টেস্টে তাকে পাওয়া যায়নি। ওপেনিংয়ে তামিম ভরসার নাম। এমনিতেই তার যোগ্য সঙ্গী খুঁজে গত বেশ কদিন থেকেই হয়রান বাংলাদেশ। এরমধ্যে তার অনুপস্থিতিতে সমস্যাটা আরও প্রকট। তামিম না থাকায় প্রতি টেস্টেই দুজন নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পেয়েছিলেন। এখনো পর্যন্ত ব্যর্থ সবাই।
ইমরুল কায়েস টানা ২২ ইনিংসে ফিফটি করতে না পেরে বাদ পড়েছেন মিরপুর টেস্টে। লিটন দাস টেস্টে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েই হারিয়ে ফেলেন ছন্দ। জিম্বাবুয়ে সিরিজে ব্যর্থতার পর তো বাদই পড়েন তিনি। মুশফিকের চোটে ব্যাকআপ হিসেবে মিরপুর টেস্টের দলে আবার এলেও ওপেনিংয়ে বিবেচনায় নেই লিটন।
শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ টেস্টে তাই সৌম্য সরকারের সঙ্গে সাদমান ইসলামের নামা নিশ্চিত। সাদমানের তো প্রথম ম্যাচই, টেস্ট ওপেনিংয়ে সৌম্যও একেবারেই থিতু নন।
প্রায় এক বছর পর টেস্টে ফিরে সৌম্যর শুরুটা ভাল হয়নি। চট্টগ্রাম টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন মোটে ১১ রান (০ ও ১১)। এই অবস্থায় দলের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার জায়গা আসলে ওপেনিং।
ওপেনারদের বেহাল দশায় অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠেও অসাহয়ত্ব, ‘খুব ভালো একটা অবস্থানে আসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওপেনিং জুটি। প্রতিদিন ১০ রানে ২ উইকেট না থাকলে তো কাজটা খুব কঠিন, মিডল অর্ডার তো প্রতিদিন গিয়ে ভালো করতে পারবে না।’
অধিনায়ক জানান কার্যকর উদ্বধোনী জুটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টাতেই তাই বারবার অদল-বদল , ‘ওই জায়গাতে আমরা বেশি সফল হয়নি। একারণে অনেকগুলো পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, চেঞ্জ হতে থাকলে একটা না সময় এসে ওরকম কাউকে আমরা পাব, যাদেরকে মনে হবে, এদেরকে একটা জায়গায় রেখে খেলানো সম্ভব হবে। ওই ভরসার জায়গাটা তৈরি করা খুব জরুরি। আমি আশা করব আমরা ওরকম কাউকে যেন পেয়ে যাই যেটাতে আমাদের ভিতটা গড়ে উঠবে।’
বড় রান না করুন, ওপেনারদের কাছ থেকে অন্তত জুতসই একটা শুরু এনে দেওয়ার আকুতি সাকিবের, ‘মাঝে মধ্যে যদি ওপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা ভালো করে, মুমিনুল এ বছর চারটা একশ করেছে, খুবই ভালো। আমাদের ওপেনারদের কাছ থেকে যদি এরকম এক দুইটা একশ বা বড় রান আসে, বা জুটিটা যদি ফিফটিও হয়ে যায় তাহলেও আমাদের জন্য বড় একটা স্বস্তি হবে।’
Comments