কেবল রাখতে হয় বলেই আর একাদশে পেসার রাখেনি বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টে একমাত্র পেসার হিসেবে একাদশে ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। দুই ইনিংস মিলিয়ে তিন বল করেছেন মাত্র চার ওভার। চার স্পিনার দিয়ে একাদশ সাজানো বাংলাদেশ অনেকটা খেলানোর জন্যই কেবল সেই ম্যাচে খেলিয়েছিল মোস্তাফিজকে। এবার আর সে পথে হাঁটেনি। একাদশে রাখা হয়নি কোন বিশেষজ্ঞ পেসার। টেস্ট ক্রিকেটে এই প্রথম বাংলাদেশের একাদশে দেখা গেল এমন ঘটনা।
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের একাদশে একমাত্র পেসার হিসেবে ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। কিন্তু পুরো ম্যাচে তিনি বল করেন মাত্র তিন ওভার। উইকেট স্পিন বান্ধব, সারাক্ষণই চলে স্পিনের রাজত্ব। তাহলে আর শুধু শুধু একজন পেসার রাখা কেন। সেই ভাবনা থেকেই হয়তো পেসারছাড়াই নেমেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের আগের দিন অবশ্য উইকেটে পেসারদের জন্যও কিছু না কিছু দেখেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ‘ঢাকার উইকেট সকাল বেলা একটু হলেও পেস বোলারদের সবসময় সাহায্য করে। বিশেষ করে এমন ওয়েদারে, যখন একটু কুয়াশা পড়ে, একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ভাব থাকে। ঢাকার উইকেটটাতে সবসময় পেস বোলারদের একটু হেল্প থাকে। সেটা আমাদের বিবেচনায় আছে।’
কিন্তু শুক্রবার সকালে একাদশে দেখা গেল না সাকিবের আগের দিনের এই কথার প্রতিচ্ছবি। একমাত্র পেসার মোস্তাফিজকেও ছেঁটে ফেলে যে একাদশ নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, তাতে ব্যাটিং অর্ডার হয়েছে অনেক লম্বা। আটজন তো কেবল বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানই আছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসান হিসেবে থাকবেন অলরাউন্ডার বিবেচনায়। ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে দুর্বল যিনি সেই তাইজুল ইসলাম টেস্টে যথেষ্টই আস্থা দেখাতে পারেন ব্যাট হাতে।
পেসারবিহীন একাদশ নিয়ে টেস্টে কোন দলের নামা অবশ্যই এটাই প্রথম না। এর আগে একাধিকবার দেখা গেছে এমন ঘটনা। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে স্পিন চতুষ্টয় নিয়ে নামা ভারতের একাদশে ছিলেন না কোন বিশেষজ্ঞ পেসার।
Comments