তাইজুলের ভরসাতেই ধীরে সেঞ্চুরি করেছেন মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যখন নব্বইয়ের ঘরে পা রাখলেন তখন বাংলাদেশ হারিয়েছে আট উইকেট। ঠিক এ সময়ে কোন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান থাকলে আগ্রাসী ব্যাটিং করেই সেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ হাঁটলেন উল্টো পথেই। ধীর গতিতে ব্যাট করে সেঞ্চুরি করতে খেললেন আরও ৩০ বল। মূলত তাইজুল ইসলাম তাকে ভরসা দেওয়াতেই সময় নিয়ে ব্যাট করছেন সাইলেন্ট কিলার।
সেঞ্চুরি করার পর মাহমুদউল্লাহকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন তাইজুল। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যখন নব্বইয়ের ঘরে পা রাখলেন তখন বাংলাদেশ হারিয়েছে আট উইকেট। ঠিক এ সময়ে কোন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান থাকলে আগ্রাসী ব্যাটিং করেই সেঞ্চুরি তুলে নেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ হাঁটলেন উল্টো পথেই। ধীর গতিতে ব্যাট করে সেঞ্চুরি করতে খেললেন আরও ৩০ বল। মূলত তাইজুল ইসলাম তাকে ভরসা দেওয়াতেই সময় নিয়ে ব্যাট করছেন সাইলেন্ট কিলার।

বাংলাদেশের অষ্টম উইকেটের পতনের পর উইকেটে আসেন তাইজুল। তখন মাহমুদউল্লাহ ব্যাট করছেন ৮৪ রানে। শঙ্কা ছিল তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে যাওয়ার আগেই হয়তো শেষ দুই উইকেট খোয়াতে পারে টাইগাররা। পরের ১৬টি রান করতে ৫৫টি বল খেলেছেন। কিন্তু মনে মনে ঠিকই শট খেলেই দ্রুত সেঞ্চুরি করতে চেয়েছিলেন তিনি। আর ধীরে ব্যাট করার সাহসটা তাইজুলই দিয়েছিলেন বলে জানালেন মাহমুদউল্লাহ।

 ‘সেঞ্চুরি তো সবাই চায়। নব্বইয়ের ঘরে গেলে কে না চাইবে। তবে আজ কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। আমি বেশ কয়েকবার চিন্তাও করছিলাম যে একটা সুযোগ নেই। এগিয়ে গিয়ে কিছু শট খেলি। কিন্তু তাইজুল বললো যে, আপনি ভালো ব্যাটিং করছেন, সময় নেন। তখন চিন্তা করলাম যে না, সময় নিয়েই ব্যাট করি’ – সেঞ্চুরির আগে এতো বেশি বল খেলার ব্যাখ্যায় এমনটাই বলেন মাহমুদউল্লাহ।

তবে শুধুই যে তাইজুলের সাহসেই এমনটা করেছেন তাও নয়। আগের টেস্টেই দারুণ ব্যাটিং করেছেন তাইজুল। এমনকি শেষ ব্যাটসম্যান নাঈম হাসানও। আর তা মাঠে থেকেই দেখেছেন মাহমুদউল্লাহ। সেটা দেখেই ধীরে ব্যাট করার বিশ্বাস মিলেছে তার, ‘আমার বিশ্বাস ছিল। শেষ ম্যাচে তাইজুল-নাঈমের একটা জুটি ছিল। তাইজুল দারুণ ব্যাট করেছে। নাঈমও ভালো ব্যাট করছিলো। আমার দুইজনের ওপরেই বিশ্বাস ছিল। আমি তেমন জোরাজোরি করছিলাম না। আমি ওইরকম চিন্তা করলে এগিয়ে গিয়ে এক দুইটা শট খেলতে পারতাম। আমি সময় নিয়েছি। আমার বিশ্বাস ছিলো যে তারা আমাকে ওই ব্যালেন্সটা দিতে পারবে।’

চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তাইজুল। সঙ্গীর অভাবে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিটা হয়তো পাননি। সেদিন নাঈমও খেলেছিলেন ২৬ রানের ইনিংস। এদিনও দারুণ ব্যাট করে নিজের কথা রেখেছেন তাইজুল। ৫৮ বল মোকাবেলা করেছিলেন। তার ২৬ রানের ইনিংস খেলার মাঝেই টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।

Comments