লাঞ্চটা আরেকটু দেরিতে দিলে হতো না?
‘লাঞ্চ বিরতিটা আরেকটু দেরিতে দিলে হতো না?’ এমন প্রশ্ন করতেই পারে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনে নেমে যে হারে উইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়া করছিলেন আরও খানিকক্ষণ খেলা চললে তো লাঞ্চের আগে ম্যাচই শেষ হয়ে যেত।
ঘুম থেকে উঠে টিভি খুলতে যারা দেরি করেছেন কিংবা মাঠে আসতে যাদের দেরি হয়েছে । তাদের চোখ কপালে উঠার দশা। বাংলাদেশি সমর্থকদের জন্য অবশ্য এই বিস্ময় আনন্দেরই। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে নয় উইকেট খুইয়ে বসেছে উইন্ডিজ। মেহেদী হাসান মিরাজ আর সাকিব আল হাসানদের ঘুর্ণিতে চোখে শর্ষে ফুল দেখছে ক্যারিবিয়ানরা।
প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েও রক্ষে নেই। লাঞ্চের আগেই দ্বিতীয় ইনিংসে আরও ৪ উইকেট খুইয়ে তারা তুলেছে ৪৬ রান।
ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে চা-বিরতির আগেই বিশাল ব্যবধানে জেতার অবস্থানে চলে গেছে সাকিব আল হাসানের দল। আগের দিনের ৫ উইকেট নিয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ নড়েচড়ে বসার আগেই কুপোকাত। এক উইকেটের রেশ না যেতেই আরেকটি। যেন অনেকটা উইকেট পতনের হাইলাইটস।
সকাল থেকে বল করছিলেন দুজন। মেহেদী হাসান মিরাজ আর সাকিব আল হাসান ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ওদের প্রথম ইনিংসের বাকি পাঁচ উইকেট। এরমধ্যে মিরাজেরই চারটি। সব মিলিয়ে ৫৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বল করেন মিরাজ। শেষ উইকেটটি নিয়ে মাত্র ১১১ রানে সফরকারীদের ইনিংস মুড়ে দেন অধিনায়ক সাকিব। টেস্টেই এটিই কোন দলের বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ।
যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই খানিকপর আবার শুরু সাকিবের। বাংলাদেশ অধিনায়ক দ্বিতীয় ইনিংসেও নেন প্রথম উইকেট। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে ছেঁটে শুরু করেন ক্যারিবিয়ানদের ধসিয়ে দেওয়ার। একইভাবে কিরন পাওয়েলকে ফেরান মিরাজও।
এই দুজনের দাপটে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ ওভারের বেশি বল করার সুযোগ পাননি তাইজুল ইসলাম। ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা এই স্পিনার আক্ষেপ করতেই পারেন। উইন্ডিজের এই অবস্থায় হাত ঘোরালেই তো মিলত উইকেট। অবশ্য তার আফসোস বেশিক্ষণ টেকেনি, দ্বিতীয় ইনিংস বল পেয়েই করেছেন জোড়া আঘাত।
সুনিল আম্রিস আর রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে তাইজুল ২৯ রানেই ফেলে দেন সফরকারীদের চার উইকেট। বাংলাদেশের জিততে বাকি আর ছয় উইকেট। উইন্ডিজের টিকতে পাড়ি দিতে হবে মহাসমুদ্র। বাস্তবতা বলছে সেই অসম্ভবের কথা এখন নিশ্চিতভাবেই মাথায় নেই ব্র্যাথওয়েটদেরও। কেবল যদি খানিকক্ষণ লড়ে ব্যবধান কমানো যায়।
Comments