সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নের বৈধতা নিয়ে রিজভীর প্রশ্ন

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর ছিল না। এর পরও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। অভিযোগ করে তিনি বলেছেন, সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর ছিল না। এর পরও তার মনোনয়নপত্র বৈধ করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এছাড়াও সারাদেশে ‘বিএনপির ৫০ জন হেভিওয়েট’ নেতা ও সাবেক এমপির মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

আজ সোমবার সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্রে টিপসই  দেওয়া হয়েছে- এমন কথা জানানো হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অচেতন হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। কেউ বিদেশে অবস্থান করলে তার স্বাক্ষর কিংবা টিপসই সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে, যার মর্যাদা হবে প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমমানের। এধরনের কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত হয়নি সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র। তার মনোনয়নপত্র নোটারি করা হয়েছে বাংলাদেশে, যা আইনসিদ্ধ নয়।’

‘সৈয়দ আশরাফের নামে নির্বাচনী কোন ব্যাংক একাউন্ট নেই, যেখান থেকে নির্বাচনী খরচ চালানো হবে। তাহলে সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো কীভাবে?’ প্রশ্ন তোলেন রিজভী।

রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। টার্গেট করে দলের ৫০ জনের মতো হেভিওয়েট জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক এমপিদের মনোনয়নপত্র বিনা অজুহাতে বাতিল করা হয়েছে।

‘এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর একজনেরও মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। কারণ তাদেরকে সাধু সন্ন্যাসী বলে মনে কওে নির্বাচন কমিশন।’

রিজভী মনে করেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা এর সবই করেছেন সরকারের নির্দেশে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago