পরীক্ষায় অসদুপায়ের অভিযোগ তোলার পর ভিকারুননিসার ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’

পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে অভিভাবকদের স্কুলে ডেকে নেওয়ার ঘটনার পর আজ সোমবার রাজধানীর ভিকারুননিসা নুন স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজধানীর শান্তিনগরে তাদের বাড়ি। সে স্কুলটির বেইলি রোডের মূল শাখার বিজ্ঞান বিভাগের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল সে মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেছিল। এ জন্যে আজকের পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করে অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে তাদের সামনেই ভর্ৎসনা করা হয়। অভিভাবকদের বলা হয়, পরীক্ষায় নকল করার জন্য মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল সে। এ কারণে তাকে স্কুল থেকে বদলির সার্টিফিকেট (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে বাকি পরীক্ষাগুলোতেও সে আর বসতে পারবে না।

মেয়ের বিরুদ্ধে এমন কঠোর শাস্তির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন অভিভাবকরা। বাসায় ফিরে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের অবস্থান বদলানোরও চেষ্টা চালান।

এর মধ্যেই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় ফাঁস দেয় সে। পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেল ৪টার দিকে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ছাত্রীর সাংবাদিকদের জানান, তার দুই মেয়ে ছিল। ছোট মেয়েটিও ভিকারুননিসা স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে।

তিনি বলেন, স্কুল থেকে তাদের ডেকে নিয়ে মেয়েকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাকে ক্ষমা করার জন্য চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হন। এই ঘটনার পর সে বিমর্ষ হয়ে আত্মহত্যা করে।

এ ব্যাপারে ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস বলেন, মেয়েটি ক্লাস নাইনের বার্ষিক পরীক্ষা দিচ্ছিল। মোবাইল ফোন নিয়ে সে অসদুপায় অবলম্বন করছিল। এই অবস্থায় শিক্ষকরা তাকে হাতেনাতে ধরে সোমবারের পরীক্ষা থেকে বহিষ্কার করেন।

তার দাবি, তারা যা করেছেন সেটা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনেই করেছেন। ট্রান্সফার সার্টিফিকেট দেওয়ার হুমকির কথাও অস্বীকার করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

6h ago