মদ্রিচ যখন ব্যালন ডি’অর হাতে, নেইমার তখন ভিডিও গেমসে ব্যস্ত

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই চলতি বছরের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীকে খুঁজে নিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। কিন্তু একই শহরে থেকেও সে অনুষ্ঠানে যোগ দেননি হালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নেইমার। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার চেয়ে ভিডিও গেমস খেলে সময় কাটানোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন এ ব্রাজিলিয়ান।

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই চলতি বছরের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীকে খুঁজে নিয়েছে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। কিন্তু একই শহরে থেকেও সে অনুষ্ঠানে যোগ দেননি হালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নেইমার। অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার চেয়ে ভিডিও গেমস খেলে সময় কাটানোকেই প্রাধান্য দিয়েছেন এ ব্রাজিলিয়ান।

ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে খেলেন নেইমার। একই শহরে অনুষ্ঠান হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই তার উপস্থিতি কামনা করেছিল ফুটবল বিশ্ব। কিন্তু সবাইকে হতাশ করেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামী এ খেলোয়াড়। তবে শুধু নেইমারই নয়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না লিওনেল মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর মতো তারকারাও।

২৬ বছর বয়সী নেইমার আগের দিন ক্লাব ও জাতীয় দল সতীর্থ থিয়াগো সিলভা এবং মারকুইনহোসের সঙ্গে অনলাইনে ভিডিও গেমস খেলেন। কল অব ডিউটি ব্লাক অপ্স ৪ নামক এ গেমসটি এ তিন খেলোয়াড় একত্রে খেলেন যা অনলাইনে সাড়া বিশ্বই দেখতে পেয়েছে। আর এরপরই তার স্ক্রিন শট ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম গুলোতে।

আগের দিন মেসি-রোনালদোর রাজত্ব ভেঙে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান তারকা লুকা মদ্রিচ। রিয়ালের টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে দারুণ অবদান ছিল তার। সবচেয়ে বড় কথা সাদামাটা একটি দলকে প্রায় একাই বিশ্বকাপের ফাইনালে টেনে তুলেছিলেন মদ্রিচ। কিন্তু ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ২-৪ গোলে হেরে যায় তার দল ক্রোয়েশিয়া।

নেইমার না গেলেও তার ক্লাব সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। চলতি বছর থেকে নতুন একটি পুরষ্কার চালু করেছে ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকী। সেরা অনূর্ধ্ব-২১ ফুটবলারের জন্য ‘কোপা অ্যাওয়ার্ড’ নামক এ পদকটি জিতে নিয়েছেন পিএসজির ফরাসি ফরোয়ার্ড এমবাপে। উপস্থিত ছিলেন অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের আতোঁয়া গ্রিজম্যানও।

গত মৌসুমটি ভালো কাটেনি নেইমারের। বেশ লম্বা সময়ই ইনজুরির কারণে ছিলেন মাঠের বাইরে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ব্যালন ডি’অরের সম্ভাব্য তালিকায় নাম না থাকারই কথা তার। তাই বলে সেরা দশে না থাকাটাও ছিল বিস্ময়কর। বিশ্বের ১৮০টি দেশের সাংবাদিকদের ভোটের সে তালিকায় ১২তম অবস্থানে ছিলেন তিনি। হয়তো সেটা বুঝেই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেইমার।

Comments