ভিকারুননিসার ৩ শিক্ষক বরখাস্ত

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিন জন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে যাদের বরখাস্ত করা হলো তাদের অন্য দুজন হলেন স্কুলটির প্রভাতী শাখার প্রধান জীনাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনা।

সেই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই তিন জন শিক্ষকেরই এমপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই তিন জন শিক্ষকের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত সোমবার শান্তিনগরের বাসা থেকে অরিত্রীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ করছেন।

কী ঘটেছিলো ৩ ডিসেম্বর?

৩ ডিসেম্বর বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালে নকল করার অভিযোগে শিক্ষকদের দ্বারা অপমানিত হওয়ার পর সেদিনই ভিকারুননিসা নূন স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারী বাসায় ফিরে আত্মহত্যা করে।

সেই ছাত্রীর বাবা জানান, তাদেরকে স্কুলে ডেকে নেওয়া হয়েছিলো। তাদেরকে বলা হয়, পরীক্ষার সময় তাদের মেয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল।

তিনি আরও বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়েটিকে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে দিবে বলে জানায়। এমনকি, তাকে টিসি দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শান্তিনগরের বাসায় ফিরে মেয়েটি তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। তারপর, গলায় স্কার্ফ পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে।

পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে বিকাল ৪টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।