‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের কাছে শেখ হাসিনার অনুরোধ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে ‘বিশেষ অনুরোধ’ জানিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। এক চিঠিতে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘আপনার কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের স্বার্থে মহাজোট প্রার্থীর পক্ষে আপনার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে মহাজোটকে বিজয়ী করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। আপনার ত্যাগ, শ্রম ও আন্তরিকতা সবকিছুই আমার বিবেচনায় আছে।’

আজ শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠান। এতে ৬ ডিসেম্বর তারিখ উল্লেখ করা শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত একটি চিঠির অনুলিপি রয়েছে। এই চিঠিতে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হসেবে মনোনয়নপত্র দিয়েছেন তাদের উদ্দেশে এই কথা বলা হয়েছে। দলের মধ্যে এ ধরনের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে বিবেচিত হন।

চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্রোহী প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আবারও বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার সুযোগ পাবে। সেই বিজয়ের অংশীদার হবেন আপনিও। আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, আওয়ামী লীগ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করার সাংগঠনিক শক্তি আর কারও নেই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আশা করি, আগামী নির্বাচনে আপনার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আপনার সকল সাংগঠনিক দক্ষতা, শক্তি ও সামর্থ্য আওয়ামী লীগের বিজয়কে সুনিশ্চিত করবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের গত এক দশকের অর্জিত উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সংগঠনের একজন আদর্শবান, ত্যাগী ও বিশ্বস্ত নেতা হিসেবে সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ও সার্বিক কর্মকাণ্ডে আপনার স্বতঃস্ফূর্ত ও সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্তভাবে প্রত্যাশা করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Ex-CEC Nurul Huda gives confessional statement in poll irregularities case

Statement being recorded before magistrate in case over alleged bias in past elections

15m ago