রোনালদো নয়, মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের প্রেসিডেন্ট

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোই ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবীদার। এ কথা আকারে ইঙ্গিতে অনেকবারই বলছেন রোনালদোর কোচ ও সতীর্থরা। বলেছেন অনেক ফুটবল বোদ্ধারাও। এমনকি খোদ রোনালদোও দাবী করেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ পুরষ্কার উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচের হাতে। আর এরপরই তাদের নিয়ে বেশ রসিকতাই করলেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।

গত এক দশক ধরে ব্যালন ডি’অর গিয়েছে ঘুরে ফিরে রোনালদো নয় লিওনেল মেসির হাতে। প্রতিবারই এ দুই তারকা ছিলেন মূল লড়াইয়ে। কিন্তু মেসির সঙ্গে লড়াইটা রোনালদোর ছিল না বলেই জানান ইব্রা। তার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের প্রতিযোগিতা ছিল বলেই জানান এ তারকা। পরোক্ষভাবে জানিয়ে দেন শেষ ছয় বছরে রিয়ালের পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জয়ের কারণই ছিলেন পেরেজ।

বরাবরই ঠোঁটকাটা ইব্রাহিমোভিচ। সত্যি কথাটা বলতে কখনোই কার্পণ্য করেন না। তেমনি মাঝে মধ্যে রসিকতাও করেন সূক্ষ্মভাবেই। মদ্রিচের ব্যালন ডি’অর পাওয়া নিয়ে কথা উঠতেই ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এখন এটা পরিষ্কার যে ব্যালন ডি’অরে মেসির সঙ্গে প্রতিযোগিতাটা তাহলে পেরেজই করতো, রোনালদো নয়।’

গত মৌসুমে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের টানা তৃতীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ছিল দারুণ ভূমিকা। বিশ্বকাপেও স্পেনের মতো দলের বিপক্ষে করেছেন হ্যাটট্রিক। তবে চলতি মৌসুমে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে নাম লেখান রোনালদো। আর রোনালদোকে পেছনে ফেলে ব্যালন ডি’অর জিতে নেন মদ্রিচ। আর এ কারণেই খোঁচাটা মেরেছেন ইব্রাহিমোভিচ।

রিয়ালের জার্সি গায়ে চারটি ব্যালন ডি’অর জিতেছেন রোনালদো। রিয়ালের জার্সিতে প্রথমবার পান ২০১৩ সালে। সে মৌসুমে ট্রফি শূন্য ছিল রিয়াল। তার মানে ট্রফি জিততে পারেননি রোনালদো। এমনকি সে বছরের সেরা গোলদাতাও ছিলেন না তিনি। সে বছরে সবচেয়ে বেশি গোল দিয়ে পিচিচি জিতেছিলেন মেসি। মৌসুমে সর্বোচ্চ ৬৮টি গোল দিয়েছিলেন। আর ক্লাবের হয়েও জিতেছেন লা লিগা ও সুপার কোপা। তারপরও রোনালদোর ব্যালন ডি’অর জয়ে বিস্ময় ছড়িয়েছিল ফুটবল মহলে।

Comments

The Daily Star  | English
A freedom fighter’s journey to Mujibnagar

Who is a freedom fighter

The government's move to redefine freedom fighters has been at the centre of discussion

23m ago