মাইলফলকের ম্যাচ মানেই ভিন্ন মাশরাফি
বাংলাদেশ দলের শততম ওয়ানডে নিয়ে অনেক আলোচনা চলছিল তখন। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত। যাদের বিপক্ষে জয় তো দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বিতাটাও কখনোও করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু সবাইকে অবাক করে ম্যাচ জিতে নিল বাংলাদেশই। আর ম্যাচের নায়ক ছিলেন অলরাউন্ডার মাশরাফি বিন মুর্তজা। কারণ ব্যাটে বলে তিনিই ছিলেন সেরা পারফর্মার।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিননিজের ২০০তম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ নিয়ে আবার আলোচনায় মাশরাফি। প্রথম কোন বাংলাদেশি খেলোয়াড় এ কীর্তি গড়তে যাচ্ছেন। কি করবেন তিনি? তার উপর রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়েও নানা গুঞ্জন। কিন্তু এদিন রাজার মতোই খেললেন অধিনায়ক। প্রতিপক্ষ ধসিয়ে দিয়ে আবারো নায়ক মাশরাফি।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে মাইলফলকের ম্যাচ মানেই কি ভিন্ন মাশরাফি? আগের দিনও অধিনায়ক জানিয়েছিলেন মাইলফলকের কোন ব্যাপার তাকে ছুঁয়ে যায় না। প্রশ্ন হলো এদিনও। অধিনায়কের উত্তর, ‘মাইলফলক আসলে ওইরকম কিছু মনে হচ্ছে না। তবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগে। খুব স্বাভাবিক। বিশেষ করে ম্যাচটা জিততে পেরেছি।’
আসলেই কি তাই। ২০০৪ সালের সেই কীর্তি কি ভুলে গেছেন মাশরাফি? বাংলাদেশের শততম ম্যাচ জয়ের স্মৃতি। সে স্মৃতি চাইলেই কি ভুলতে পারবেন অধিনায়ক। পারেনও নি। মাশরাফির ভাষায়, ‘১০০তম ম্যাচেরটা মনে আছে। বোধহয় ভারতের সঙ্গে ম্যাচটি ছিল, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচটা হয়েছিলো। এটা অনেক দিন অনেক ছিল, এখনও আছে।’
এদিন উইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মাশরাফি। প্রায় একাই ধসিয়ে দিয়েছেন সফরকারীদের টপ অর্ডার। শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, রভম্যান পাওয়েলের মতো ব্যাটসম্যানদের আউট করেছেন। দিনশেষে পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরষ্কার। এসব কি তাহলে কাকতালীয়? মাশরাফি অবশ্য এমনটা মনে করেন না, ‘আসলে দুনিয়ায় কাকতালীয় বলে কিছু নাই, আমরা বানাই। ঘটনা ঘটে এই আর কি।’
Comments