‘চার ওপেনার’ নিয়ে খেলার যে ব্যাখ্যা দিলেন অধিনায়ক

Tamim-Litton
বাংলাদেশের ইনিংস ওপেন করেন তামিম ও লিটন। একাদশে ছিলেন আরও দুজন স্বীকৃত ওপেনার। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সিরিজের আগে বড় প্রশ্ন ছিল ছন্দে থাকা তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের কে হবেন তামিম ইকবালের সঙ্গী? কে খেলবেন তিনে? পরিস্থিতি বলছিল অন্তত একজন বাদ পড়তে যাচ্ছেন। কিন্তু প্রথম ওয়ানডের একাদশে দেখা গেল চার ওপেনারই আছেন। বাদ দেওয়া হয়েছে মিডল অর্ডারে ছন্দে থাকা মোহাম্মদ মিঠুনকে। এই কম্বিনেশন নিয়ে অনায়াসে জিতে আসার পর অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা দিলেন ব্যাখ্যা।

তামিমের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে যান লিটন দাস, ইমরুল কায়েস খেলেছেন তিনে। আর সৌম্য খেলেছেন ছয় নম্বরে।

সৌম্য কেন নিচে, কেন বাদ মিঠুন ব্যাখ্যায় অধিনায়ক জানালেন, ‘সৌম্যর আসলে ছয়-সাতে ব্যাট করার অভ্যাস আছে।  ইমরুল হয়ত কম করে (নিচে ব্যাটিং) । সৌম্য এশিয়া কাপ ফাইনালে সাতে খেলেছে। আবার ওর হাতে শট খেলার সামর্থ্য আছে। পেস বল সামলাতে পারে। ছন্দেও আছে। শেষ তিন ম্যাচেই (প্রস্তুতি ম্যাচ সহ) সেঞ্চুরি করেছে।’

‘মিঠুনও ভাল ফর্মে আছে। কিন্তু শিশিরের কথা চিন্তা করতে হয়েছে। যদি স্পিনাররা স্ট্রাগল করে, সৌম্যর কাছ থেকে কিছু ওভার পাওয়া যায় কিনা এসব চিন্তা করে আসলে সৌম্যকে খেলানো।’

চোটে পড়ার আগে তিনে নামতেন সাকিব আল হাসান। এবার তিনে নেমে গেছেন পাঁচে। টপ অর্ডারে তাই ছন্দে থাকা তিনজনকে দিয়ে সাজিয়ে একাদশ গড়তে সুবিধা হয়েছে বাংলাদেশের, ‘কিছুটা সহজ হয়েছে সাকিব পাঁচে ব্যাট করাতে। যেহেতু সাকিব পাঁচে ব্যাট করছিল। সেহেতু মিঠুন এবং সৌম্যের ভেতর সামর্থ্যের দিক থেকে সৌম্য কাছ থেকে কিছু ওভার যদি পাওয়া যায় সেটা বিবেচনা নেওয়া হয়েছে।’

তবে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েও বাদ পড়া মিঠুনকেও বার্তা দিয়ে রেখেছেন অধিনায়ক, ‘মিঠুনের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমি বলবো ও খুব দুর্ভাগা। যে ফর্মে ছিল সেখান থেকে খেলতে না পারা। ও পাঁচে ব্যাটিং করেছে, ছয়ে পারবে না তাও না।’

তবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রথম তিনে এই চার ওপেনারের তিনজনই যে থাকছেন তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মাশরাফি, ‘টপ তিনে এদের চার জনের তিন জনেরই খেলার সম্ভাবনা বেশি। যেহেতু এই মুহূর্তে বাইরে ওইরকম কেউ নাইও। বেশির ভাগ ম্যাচই এরা খেলে আসছে। এদের চার জন থেকে তিন জন খেলার সম্ভাবনাই বেশি।’

 

Comments