যে ফরমুলায় সাফল্য হোপের

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের আসার পর একের পর এক হার।  ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের মানসিকতাতেই পড়ার কথা নেতিবাচক প্রভাব। এই ম্যাচও হারলে ক্যারিবিয়ানদের পুরো সিরিজ থেকেই পাওয়ার থাকত না কিছুই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার করুণ দশার মাঝেই শাই হোপে সত্যিকারের ‘হোপ’ দেখল সফরকারীরা। অপরাজিত ১৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে একাই হারিয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে জানালেন পুরো ইনিংসে তার ভাবনার কথা।

২৫৬ রান তাড়ায় চন্দরপল হেমরাজকে নিয়ে ইনিংস ওপেন করতে নেমেছিলেন হোপ। কেমো পলকে নিয়ে দলকে জিতিয়ে যখন মাঠ ছাড়েন তার নামের পাশে ঝলঝল করছে ১৪৪ বলে ১৪৬ রান। ১২ চারের সঙ্গে মেরেছেন তিন ছক্কা।

দলকে ম্যাচ জিতিয়ে সিরিজে সমতা আনার পর জানালেন পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করার পণ নিয়ে নেমেছিলেন। আর এই ফরমুলাতেই এসেছে সাফল্য, ‘খেলার জন্য পুরো ৫০ ওভার ছিল, জানতাম কাউকে লম্বা ইনিংস খেলতে হবে। যতক্ষণ সম্ভব টিকে থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং ম্যাচ যেন জিতে ফিরতে পারি সেটাও নিশ্চিত করতে চেয়েছি। আমরা জানি কিমো খুব ভালো ব্যাট করে। ওর ওপর আমার পূর্ণ আস্থা ছিল। যতটুকু সম্ভব স্ট্রাইক পরিবর্তন করতে চেয়েছি আমরা। জানতাম এ উইকেটে নেমেই মারা সম্ভব না। তাই সে ম্যাচ জেতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে (ধৈর্য ধরে ব্যাট করেছে)।’

‘আমরা কিমোর (পল) ব্যাটিং সামর্থ্যের কথা জানি। তার প্রতি পুরো বিশ্বাস ছিল আমার। যতটা পারি, স্ট্রাইক বদলাতে চাচ্ছিলাম। জানতাম, ক্রিজে এসেই এখানে বল হিট করাটা কঠিন। এ কারণেই সে গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেছে আমাদের পার করিয়ে দেওয়ার জন্য।’

পিছিয়ে থেকে সিরিজে সমতা আসায় এবার বাকিটার ব্যাপারেও ‘হোপফুল’ হোপ, ‘অবশ্যই (সিরিজ জিততে চাই)। আমরা এখানে ম্যাচ জিততেই এসেছি। আমরা লড়তে এসেছি এবং ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে চাই।’

 ‘যাই হোক না কেন, শুধু বিশ্বাস রেখেছি। আমরা এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছি এবং জিততে এসেছি। এটা তো সময়ের ব্যাপার যে আমরা বাধাটা কখনো না কখনো টপকাব।’

Comments

The Daily Star  | English

Dengue: 5 dead, 159 hospitalised in 24 hours

With the deaths, the total number of dengue-related deaths this year has risen to 28

56m ago