বার্সাকে রুখে দিয়ে নকআউটে টটেনহ্যাম, ইন্টারের বিদায়
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/000_1bj0rl.jpg?itok=jcOlfi92×tamp=1544584330)
ভাগ্যটা টটেনহ্যাম হটস্পার্সের সঙ্গেই ছিল। তা না হলে ফিলিপ কৌতিনহোর দুই দুইটি শট কেন বারপোস্টে লেগে ফিরে আসবে। তার একটিও গোল হলে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হতো তাদের। কিন্তু তা হয়নি। শুরুতে পিছিয়ে পরা দলটি শেষ মুহূর্তে সমতায় ফিরে নকআউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে ‘বি’ গ্রুপে বার্সেলোনা ও টটেনহ্যামের ফিরতি লেগের লড়াইটি ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয়। তাতেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় ইংলিশ ক্লাবটির। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে ৪-২ গোলে জিতেছিল বার্সা। এ গ্রুপের অপর ম্যাচে জয় পেলে নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে যেত ইন্টার মিলানের। কিন্তু ঘরের মাঠে পিএসভি আইন্দহোভেনের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইতালির দলটিকে।
তবে টটেনহ্যাম ও ইন্টার দুই দলের পয়েন্টই সমান ৮। এমনকি মুখোমুখি লড়াইয়েও নিজ নিজ মাঠে জয় পেয়েছে টটেনহ্যাম ও ইন্টার দুই দলই। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে গোল করার সুবিধায় শেষ ষোলো নিশ্চিত হয় ইংলিশ ক্লাবটির। আগেই বিদায় নেওয়া পিএসভির সংগ্রহ ২ পয়েন্ট। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনার পয়েন্ট ১৪।
গ্রুপ পর্ব আগেই নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচে খেলেননি দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি সহ নিয়মিত একাদশের বেশ কিছু খেলোয়াড়। হাঁটুর ইনজুরি থেকে কদিন আগে ফিরে আসা লুইস সুয়ারেজ তো দলেই ছিলেন না। কিন্তু তাদের ছাড়াও দলটি খারাপ খেলেনি। ৮ মিনিটেই উসমান দেম্বেলের একক নৈপুণ্যের গোলে এগিয়ে যায় কাতালানরা।
মাঝমাঠ থেকে কাইল ওয়াকার পিটার্সের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে দারুণ এক গোল করেন দেম্বেলে। ডি বক্সের মধ্যে দারুণ দক্ষতায় প্রথমে হ্যারি উইনক্স পরে পিটার্সকে আবার বোকা বানিয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন বিশ্বকাপ জয়ী এ ফরাসী ফরোয়ার্ড। তবে ৪৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়াতে পারতো বার্সা। চার ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে নেওয়া কৌতিনহোর দূরপাল্লার শট বারে লেগে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধেও গোল শোধ করতে বেশ কিছু দারুণ আক্রমণ চালিয়ে যায় টটেনহ্যাম। ৪৭ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে নেওয়া এরিকসনের শট ঝাঁপিয়ে পরে ফেরান গোলরক্ষক সিলেসেন। ৭৫ মিনিটে তো প্রায় গোল পেয়েই গিয়েছিল টটেনহ্যাম। কিন্তু লুকাস মৌরোর শট গোললাইন থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ঝাঁপিয়ে বল ফিরিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক।
৮৩ মিনিটে আবার এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। এবারও কৌতিনহোর শট বারে লেগে ফিরে আসে। উল্টো দুই মিনিট পর গোল খেয়ে বসে দলটি। হ্যারি কেইনের পাস থেকে দারুণ প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন লুকাস। এ গোলেই সেরা ষোলো নিশ্চিত হয় দলটির।
এ গ্রুপের অপর ম্যাচে সান সিরো স্টেডিয়ামে ১১ মিনিটেই হার্ভিং লোজানোর গোলে পিছিয়ে পরে ইন্টার। তবে ৭৩ মিনিটে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দির গোলে সমতায় ফেরে দলটি। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। টটেনহ্যাম ড্র করায় নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে হলে জয় ছাড়া কোন বিকল্প ছিল না ইতালিয়ান ক্লাবটির।
Comments