২০১৪ সালের সহিংস অবস্থার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার ছক তৈরি করতে হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, গত ২০১৪ সালের সহিংস অবস্থার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার ছক তৈরি করতে হবে।
CEC
১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, রাজধানীর নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। ছবি: স্টার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, গত ২০১৪ সালের সহিংস অবস্থার কথা মাথায় রেখে নিরাপত্তার ছক তৈরি করতে হবে।

সিইসি বলেন, “পেছনের একটা ঘটনার রেষ টানা প্রয়োজন। সেটি হলো ২০১৪ সালের নির্বাচন।  সেই নির্বাচনের অবস্থা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। তখন ভয়ঙ্কর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার আলোকে আমাদের এবারের নির্বাচনের প্রস্তুতির রূপরেখা ও কৌশল অবলম্বন করা প্রয়োজন।”

এবছর যেনো আর সেরকম তাণ্ডব না ঘটে বা সেরকম পরিস্থিতির সুযোগ সৃষ্টি না হয়- এখন থেকে তা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সিইসি।

নূরুল হুদা বলেন, “আমরা কিন্তু আশঙ্কাগুলো একেবারেই অবহেলা করতে পারি না। যেদিন প্রতীক বরাদ্দ হলো তার পরের দিনই দুর্ঘটনা। সে ঘটনাগুলো যতো ছোটই হোক না কেনো, দুটো জীবন চলে গেলো। সে দুটো জীবনের মূল্য অনেক। কিন্তু কেনো হলো? তারপরে এখানে ওখানে ভাঙচুর, প্রতিহত করা। এগুলোর পেছনে কি রাজনৈতিক, সামাজিক কারণ নাকি সেই ২০১৪ সালের মতো ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা চলছে কি না তা কিন্তু ভালোভাবে নজরে নিতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সতর্ক নজরদারি থাকতে হবে।”

এছাড়াও, বিনা কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করা বা কারো বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলা করা যাবে না বলেও সিইসি কার বক্তব্যে আহ্বান জানান।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব জনগণের জীবন, মালামাল, সম্পদ রক্ষা ও দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি আশা করবো আপনাদের যে নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্ব দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও মানসিকতা দিয়ে এবারের নির্বাচনে আমরা এসব মোকাবিলা করতে পারবো।”

কমিশন নির্বাচনের প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মধ্যে প্রস্তুতির ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু ব্যালট পেপার ছাপা।”

আজ (১৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে বিদ্যমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আজ এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

12h ago