‘নির্বাচনে হেভিওয়েট প্রার্থী বলে কিছু নেই’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। ঢাকা-১৭ আসন থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
গত ১১ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন এই অভিনেতা। প্রচারণায় কেমন সাড়া পাচ্ছেন সেসব নিয়ে কথা বলেছেন স্টার অনলাইনের জাহিদ আকবর-এর সঙ্গে।
স্টার অনলাইন: নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
ফারুক: রাজনীতিতে অনেক আগে থেকেই যুক্ত ছিলাম। সবসময় বঙ্গবন্ধুর কথা বলে আসছি, আওয়ামী লীগের কথা, নেত্রীর কথা বলে আসছি, নেত্রী কী কী উন্নয়ন করেছেন সেগুলো বলছি। এই কয়েকদিনের প্রচারণায় নেমে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি। বিশেষ করে গতকাল (১২ ডিসেম্বর) ভাষানটেক এলাকায় গিয়ে আমার মুগ্ধতা আরও ছাড়িয়ে যায়। মাথা নিচু করে কেঁদেছি। মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসে। আমার কাছে মনে হলো নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি।
স্টার অনলাইন: ঢাকা-১৭ আসনে মহাজোটের হেভিওয়েট একজন প্রার্থী রয়েছেন। বিষয়টা কীভাবে দেখেছেন?
ফারুক: আমি তো মহাজোটের না। আমি নৌকার মাঝি। আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থী। মহাজোট আমার কাছে কিছুই নয়। মহাজোট তাদেরটা করবে। আমি আওয়ামী লীগ তাই আওয়ামী লীগেরটা করবো। আর হেভিওয়েট প্রার্থীর কথা বলছেন?- এটা জনগণের কাছে জিজ্ঞেস করুন, তাদের কাছে হেভিওয়েট প্রার্থী কে? কারণ হেভিওয়েট বলে নির্বাচনে কিছু নেই। কোনো দলের প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী দাঁড়ালে তাদের হেভিওয়েট প্রার্থী বলা হয়ে থাকে। আমার কাছে হেভিওয়েট প্রার্থী হচ্ছে, যারা মানুষের ভালোবাসা পায়। তাদের উন্নয়নে কাজ করেন। তাদের ভালোবাসা নিয়ে সংসদে কথা বলেন।
স্টার অনলাইন: প্রথমত আপনি তো চলচ্চিত্রের মানুষ। নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে গেলে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের কোন বিষয়গুলো তুলে ধরবেন?
ফারুক: সংসদ জাতির ভাগ্য নির্ধারণ করে। সিনেমাও কিন্তু জাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। সংসদে সিনেমার কথা অবশ্যই বলবো। সিনেমায় কী কী সমস্যা রয়েছে সেটা মনে হয় আমার চেয়ে ভালো কেউ বলতে পারবে না। আশা করি, সেসব বিষয় তুলে ধরতে পারবো। তবে তার আগে আমার একটা কথা রয়েছে। সেটা হচ্ছে বিজয়ী হলে ভাষানটেক এলাকাবাসীর জন্য আমি আগে কথা বলবো সংসদে। তাদের জন্য আমি কিছু একটা করবো।
Comments