ঝুঁকি নিয়েই উড়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ

দ্বিতীয় রাউন্ড আগেই নিশ্চিত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাই সের্জিও রামোস, লুকা মদ্রিচ, গ্যারেথ বেলসহ নিয়মিত একাদশের কয়েক জন খেলোয়াড়কে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজিয়ে ছিলেন কোচ সান্তিয়াগো সোলারি। আর এ ঝুঁকি নেওয়ার কারণেই ঘরের মাঠে সিএএসকে মস্কোর মতো দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে বলে জানান এ আর্জেন্টাইন কোচ।

দ্বিতীয় রাউন্ড আগেই নিশ্চিত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাই সের্জিও রামোস, লুকা মদ্রিচ, গ্যারেথ বেলসহ নিয়মিত একাদশের কয়েক জন খেলোয়াড়কে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজিয়ে ছিলেন কোচ সান্তিয়াগো সোলারি। আর এ ঝুঁকি নেওয়ার কারণেই ঘরের মাঠে সিএএসকে মস্কোর মতো দলের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরেছে বলে জানান এ আর্জেন্টাইন কোচ।

আর স্বাভাবিকভাবে তাই দায়টা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন সোলারি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ফলাফল আমাকে খুব দুঃখ দিয়েছে। আমি জানি আমরা ঝুঁকি নিয়েছিলাম, এটাই পরিষ্কার কথা। এই হারের জন্য অবশ্যই আমাকে দায় নিতে হবে। কারণ আমি মাঠে নামিয়েছিল দল এবং অনেক তরুণদের নিয়ে।’

হারের ব্যাখ্যা দিয়ে রিয়াল কোচ আরও বলেছেন, ‘এই ম্যাচে ভিন্ন কিছু হতে পারত, কারণ এটা শক্তির ওপর নির্ভর করে। আর এই দিন আমরা কোনও জায়গায় শক্তিশালী ছিলাম না। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা আমরা পছন্দ হয়নি। আমরা কেউই এই ফল পছন্দ করিনি। জয়ের প্রত্যাশা ছিল আমাদের।’

আগের দিন বিরতির আগেই দুই গোলে পিছিয়ে পরে রিয়াল। অথচ উল্টো এ অর্ধে এগিয়ে থাকতে পারতো দলটি। বেশ কিছু সহজ সুযোগ মিস করেছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, আসেনসিওরা। দ্বিতীয়ার্ধে বেল, টনি ক্রুসদের নামালেও ভাগ্য বদলায়নি। উল্টো আরও এক গোল হজম করে দলটি।

আগের লেগেও মস্কোর কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল রিয়াল। গত এক দশকে প্রথমবারের মতো এক দলের বিপক্ষে দুই লেগেই হারল তারা। এর আগে ২০০৮-০৯ মৌসুমে জুভেন্টাসের কাছে দুই লেগেই হেরেছিল দলটি।

অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে সফল দল রিয়াল। ঘরোয়া লিগে সংগ্রাম করলেও বরাবরই এ ইউরোপের সর্বোচ্চ আসরে দারুণ ফুটবল খেলে দলটি। তাই ঘরের মাঠে এমন হার দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কোচ-কর্মকর্তাদের।

Comments