চার ওপেনার নিয়ে এবার ভিন্ন ভাবনা
ফর্মের তুঙ্গে থাকায় চারজন ওপেনারকেই একাদশে রেখে প্রথম দুই ম্যাচে দল সাজিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এই ফরমুলা কাজে আসেনি। তিনে নেমে দুই ম্যাচেই একদম রান পাননি ইমরুল কায়েস। ছয়, সাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সৌম্য সরকার। সিরিজ নির্ধারনী শেষ ম্যাচে তাই কম্বিনেশনে অদল বদলের ইঙ্গিত দিলেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
প্রথম দুই ম্যাচে তামিম ইকবালের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নামেন লিটন দাস। ইমরুলকে তিনে খেলানোয় সৌম্যকে নেমে যেতে হয় ছয়-সাতে। এর আগে তিনে খেলা সাকিব নেমে যান পাঁচে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজে ৩৪৯ রান করায় ইমরুল, ঐ সিরিজেই দারুণ সেঞ্চুরি করে ফেরায় সৌম্য আর এশিয়া কাপের ফাইনাল থেকে ভাল খেলতে থাকা লিটনের কাউকেই বাদ দিতে চাইছিল না বাংলাদেশ। দলের সেরা ওপেনার তামিমের সঙ্গে তাই টিকে যান বাকি সবাই। কিন্তু এদের সবাইকে খেলাতে গিয়ে ব্যাটিং পজিশনের অদল বদল আবার কাজে দেয়নি।
প্রথম ওয়ানডেতে দল জেতায় এই কম্বিনেশন নিয়েও প্রশ্ন বড় হয়নি, দ্বিতীয় ওয়ানডে হারের পর ‘চার ওপেনার’ থিউরি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশকেও ভাবতে হচ্ছে নতুন করে, অধিনায়কের কথায় পাওয়া গেল তেমনই আভাস ‘আপনি যদি প্রথম ম্যাচের ওপেনিং কম্বিনেশন চিন্তা করেন, লো স্কোরিং ম্যাচ হয়েছিল। লিটন খুব ভালো ব্যাট করেছে। নটআউট থাকতে পারত…এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে ৪১ করেছে। তামিম কালকে খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। খুব অস্বাভাবিক যে আমাদের ওপেনার কিংবা চার নম্বর ব্যাটসম্যান রান করার পরও টপ অর্ডার বা কেউ সেটা বড় করতে পারেনি। শেষ ম্যাচে ওটা হয়েছে। ইমরুল দুটা ম্যাচে রান করতে পারেনি। ছয়ে সৌম্য অবশ্যই ক্লিক করেনি। যে চিন্তা থেকে আমরা দলটা সাজিয়েছি আমার মনে হয় সেটা বাস্তবায়ন হয়নি।’
যেহেতু কাজে দেয়নি কৌশল, তাই অলিখিত ফাইনালে অদল বদলের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন মাশরাফি, ‘অনেক কিছুই হতে পারে। পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে। সবার কনসার্ন আছে। সবাই আলোচনা করলে হয়তোবা যে সিদ্ধান্ত আসবে সেটা নেওয়া হবে।’
মাশরাফির ইঙ্গিত মত তেমন অদল বদল হলে বাদ পড়তে পারেন ইমরুল কায়েস। তিন নম্বরে নেমে তিনি দুই ম্যাচ থেকে মাত্র ৪ রান করায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ খেলাও যেন এখন কোন দূরের অতীত। ইমরুলের বদলে একাদশে আসতে পারেন এশিয়া কাপ থেকে ছয়ে নেমে জুতসই ব্যাট করা মোহাম্মদ মিঠুন। সেক্ষেত্রে তিনে উঠে আসতে পারেন সৌম্য।
Comments