রভম্যানের আউটের সময় কি বলতে এসেছিলেন ব্র্যাথওয়েট?
২৬তম ওভারের শেষ বল। মেহেদী হাসান মিরাজের অফ সাইডের বল খেলতে গিয়ে আউটসাইড এজ হয়ে রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ গেল মুশফিকুর রহিমের কাছে। মুশফিক দুবারের চেষ্টায় তা নেওয়ার পরই পরিষ্কার আউট, ক্যাচ নিয়ে উদযাপনে ব্যস্ত বাংলাদেশও। কিন্তু রভম্যান নিয়ে নিলেন রিভিউ, রিভিউ খারিজ হওয়ার পর দ্বাদশ খেলোয়াড় কার্লোস ব্র্যাথওয়েট এসে তর্ক জুড়ে দিলেন আম্পায়ারের সঙ্গে। ম্যাচ শেষে জানা গেল উইন্ডিজের আপত্তির অন্য কারণ।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ওয়ানডেতে বল ডেলিভারির সময় লেগ সাইডে পাঁচ জনের বেশি ফিল্ডার রাখতে পারবে না কোন দল। এই নিয়ম ভঙ্গ হলে ওই বল ‘নো’ ডাকতে পারেন আম্পায়ার। উইন্ডিজের আপত্তি ছিল তা নিয়েই। তাদের দাবি মিরাজের বলটার সময় তখন লেগ সাইডে ছয়জন ফিল্ডার ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু দুই আম্পায়ারই তা খেয়াল করেননি।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজাও বললেন তাদের বেখেয়ালে ছয়জন ফিল্ডার হয়ে গিয়েছিল এক পাশে। কিন্তু আম্পায়ার যেহেতু খেয়াল করেননি, সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পর তা আর ফেরানোর উপায় ছিল না, ‘আমরা সবাই জানি ৬-৩-ও নো বল হয়। ওই সময় যেটা হয়েছিল, আউট করার জন্য, মিরাজ যেভাবে বোলিং করছিল, ফিল্ডিং ক্লোজ করতে করতে ওই সময় ৬টা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার যেহেতু আগেই সিদ্ধান্ত দিয়েছে, কাজেই সেটাই থেকে গেছে।’
এরকম ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। ক্রিকেটে আগেও আম্পায়ারদের মানবিক ভুলে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছেন কোন কোন ব্যাটসম্যান।
সংবাদ সম্মেলনে রভম্যান নিজেই বললেন, আউটের পর লেগ সাইডে অতিরিক্ত ফিল্ডার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন তারা কিন্তু আম্পায়ার আগেই সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়ায় কিছুই করার ছিল না।
নিজেকে দুর্ভাগা ভাবলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রভম্যান অবশ্যই পুরো সিরিজেই ব্যর্থ। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ১৪ রান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে করলেন ১ রান করে। এর আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজেও ৫ ম্যাচে তিনি করেছিলেন মাত্র ৬১ রান।
তবে দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেভাবে হেরেছে তাতে রভম্যানের আউট নিয়ে বচসা করার অবস্থা তাদের নেই। তাদের দেওয়া ১৯৯ রানের লক্ষ্য ৬৯ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট খুইয়েই পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।
Comments