হেটমায়ার বারবার আউট করার রহস্য ভাঙলেন মিরাজ

চলতি সিরিজে এ অনন্য দ্বৈরথই সৃষ্টি হয়েছে। উইকেটে শিমরন হেটমায়ার আসলেই মেহেদী হাসান মিরাজকেই খোঁজেন সবাই। আর তার কারণ মিরাজের বল খেলতে যে হেটমায়ার অস্বস্তিবোধ করেন তা প্রমাণিত। চলতি সিরিজে তাকে ছয়বার আউট করেছেন মিরাজ। হেটমায়ারকে দেখলেই যেন একটু বেশি সিরিয়াস হয়ে যান এ অফস্পিনার। এ কারণেই সফল হন বলে জানান তিনি।

চলতি সিরিজে এক অনন্য দ্বৈরথই সৃষ্টি হয়েছে। উইকেটে শিমরন হেটমায়ার আসলেই মেহেদী হাসান মিরাজকে খোঁজেন সবাই। আর তার কারণ মিরাজের বল খেলতে যে হেটমায়ার অস্বস্তিবোধ করেন তা প্রমাণিত। চলতি সিরিজে তাকে ছয়বার আউট করেছেন। হেটমায়ারকে দেখলেই যেন একটু বেশি সিরিয়াস হয়ে যান এ অফস্পিনার। এ কারণেই সফল হন বলে জানান তিনি।

এমন নয় যে অন্য কোন ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে সিরিয়াস থাকেন না মিরাজ। সবসময়ই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে হেটমায়ারের ক্ষেত্রে যেন ভিন্ন কিছু ভর করে মিরাজের মধ্যে। হেটমায়ারের উইকেট যেন তার বন্ধকী সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে বিপত্তিটা করেছিলেন রুবেল হোসেন। তবে মিরাজ আবার ফিরে পেয়েছেন ধারা। চলতি সিরিজে ছয়বার আউট করলেও শুরুটা উইন্ডিজে থাকতেই। সেইন্ট কিটসে হেটমায়ারকে বোল্ড করেই শুরু।

এদিন হেটমায়ার উইকেটে আসার পর মিরাজকে বোলিংয়ে আনেন মাশরাফি। অধিনায়কের ভরসা ছিল তাকে ঠিকই আউট করবেন। করলেনও। তাই আবারো আলোচনা হেটমায়ার-মিরাজ দ্বৈরথ নিয়েই। সংবাদ সম্মেলনে সাফল্যের রহস্য ভাঙলেন মিরাজ, ‘ও (হেটমায়ার) যখন ব্যাটিংয়ে আসে তখন হয়তো আমি বেশি সিরিয়াস থাকি। ও আমার বলে যেহেতু আউট হচ্ছে আমি ক্যাজুয়ালি নিই না। আমি আরও বেশি সিরিয়াস থাকি। ভাবি যে, ও হয়তো আমার ওপর চড়াও হতে পারে। তাই ও যখন ব্যাটিংয়ে নামে আমার ফোকাস তখনও আরও বেড়ে যায়। হয়তো ও এখানে একটু পিছিয়ে থাকে বা আমি একটু এগিয়ে থাকি। এই কারণে হয়তো আমাকে খেলতে ওর একটু সমস্যা হয়।’

হেটমায়ার ও মিরাজ দুইজন ক্যারিয়ার শুরু করেছেন বয়সভিত্তিক দল দিয়ে। একই সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলেছেন। তখন থেকেই চেনা জানা। তাই তার বিপক্ষে কিভাবে বল করতে হবে টা একটু বেশিই জানেন মিরাজ। আর ২০১৬ সালে সেমিফাইনালে হেটমায়ারের দলের কাছে হেরেই স্বপ্ন ভেঙ্গেছিল মিরাজের বাংলাদেশের। সে ক্ষতটাও যে শক্তিতে পরিণত করেন এ স্পিনার।

Comments

The Daily Star  | English

$800m repayment to Russia in limbo

About $809 million has piled up in a Bangladesh Bank escrow account to repay loans and interest for the Russia-funded Rooppur Nuclear Power Plant.

10h ago