সন্ত্রাস, জবরদস্তি মেনে নেওয়া যায় না: ড. কামাল

Dr Kamal Hossain
১৬ ডিসেম্বর ২০১৮, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ছবি: পলাশ খান/ স্টার

দেশে যারা রুগ্ন রাজনীতি করে, যারা লাঠিয়াল ব্যবহার করে, যারা কালো টাকা ব্যবহার করে, যারা জনগণকে মর্যাদা দেয় না, তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

আজ (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পর তিনি এই আহ্বান জানান।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘‘৭১-এ যারা জীবন দিয়েছিল, তারা যে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, যেখানে সব মানুষ নিরাপদে থাকবে, তাদের কাজকর্ম পাবে, দেশে আইনের শাসন থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার মূল্যবোধকে আমরা রক্ষা করবো। ঐক্যবদ্ধ জনগণের বিজয় অনিবার্য।

ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, “যে মূলনীতিগুলো (গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ) আমাদের সংবিধানে আছে, এই চার মূলনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য লাখো লাখো মানুষ জীবন দিয়েছিল। সেগুলো মেনে আমরা দেশ গড়ার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবো। এখানে কোনো রকমের সন্ত্রাস, জোর জবরদস্তি, লাঠিয়ালদের ভূমিকা একদম মেনে নেওয়া যায় না।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, “স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু স্বাধীনতার লক্ষ হলো মুক্তি, এর জন্য আমদের সংগ্রাম করে যেতে হচ্ছে, যেতে হবে।”

স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি দেশে রাজনীতি করছে, রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, “যে ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে নিয়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম,  সে স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে। যেকোনো দিক থেকে এর বিরুদ্ধে যদি কেউ লাগে, ঐক্যবদ্ধ জনগণের সে শক্তি অবশ্যই আছে, যা নিয়ে আমরা স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে পারবো।”

এ সময় ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান, ঐক্যফ্রন্টের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরাম নেতা মোস্তাফা মহসীন মন্টুসহ অন্যান্যরা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

9h ago