বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের মুখোশ খসে পড়েছে: কাদের

ছবি: বাসস

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ যারা গণতন্ত্রের জন্য মায়া কান্না করেন তাদের অন্তরে কোন গণতন্ত্র নেই। অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তিদের নিয়ে তারা জোট এবং গোপন বৈঠক করছেন।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশকে পাকিস্তানী ধারায় ফিরিয়ে নেয়ার চক্রান্ত করছে তারা। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের মুখোশ খসে পড়েছে। তারা মুখে যতই মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের কথা বলছে আসলে তারা জঙ্গিবাদকে সমর্থন করছে।

‘নৌকার পক্ষে সারাদেশে গণজোয়ার উঠেছে। এ অবিস্মরণীয় গণজোয়ার দেখে এবং নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে’ অভিযোগ করে কাদের বলেন, ‘এ অশুভ শক্তিকে প্রতিরোধ করতে হবে। নির্বাচন বানচাল করতে আমরা দেব না।’

ওবায়দুল কাদের আজ তার নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট হাইস্কুল মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সাহাবুদ্দিন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত প্রমুখ।

আদর্শের জন্য দল আর উন্নয়নের জন্য কাজের লোককে ভোট দেয়ার আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উত্তর বঙ্গের মঙ্গা, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব এখন যাদুঘরে। এবার যদি তারা ক্ষমতায় আসে তাহলে দেশ অন্ধকারে যাবে। আগুন সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে।

পদ্মাসেতু, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ফোরলেন সড়ক, ঢাকা উড়াল সেতু, কর্ণফুলীর নদীর নিচ দিয়ে টানেলসহ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, আজ দেশে ৩৪টি প্রাইভেট চ্যানেল চালু আছে। জনগণ সব খবর পায়। ৯ কোটি মানুষের ঘরে ইন্টারনেট, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছে। জন্ম নিবন্ধনে বাবার নামের সাথে মায়ের নাম সংযোজন করে নারীদের সম্মানিত করেছেন। নারীরা প্রশাসনের বড় বড় পদে আছেন। এ সুযোগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই করে দিয়েছেন।

নির্বাচনের আগেই নোয়াখালীতে এক জনকে খুন করা হয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিশোধের রাজনীতি করে না। আওয়ামী লীগ জোর পূর্বক জনগণের ভোট ছিনতাই করে না। নির্বাচন বানচাল করতে এলে জনগণ প্রতিহত করবে। আমাদের কোন অস্ত্র নেই। ভোটাররা এবং জনগণই আমাদের অস্ত্র। মানুষের চেয়ে বড় অস্ত্র আর কিছু নেই।

Comments

The Daily Star  | English
Khaleda Zia calls for unity

Institutionalise democracy, stay united

Urging people to remain united, BNP Chairperson Khaleda Zia has said the country must quickly seize the opportunity to institutionalise the democratic system.

1h ago