জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা

প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্যসহ নানা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি

প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্যসহ নানান সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ (১৭ ডিসেম্বর) জোটের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। ছবি: মোহাম্মদ আল-মাসুম মোল্লা

প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্যসহ নানান সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আজ (১৭ ডিসেম্বর) জোটের ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

১৪ দফা ইশতেহারে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য আনা হবে। একটানা পর পর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকা যাবে না।

এছাড়াও বলা হয়, সংসদের ডিপুটি স্পিকারের পদ বিরোধী দলীয় সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবে।

ইশতেহারের ক্ষমতার ভারসাম্য অনুচ্ছেদে বলা হয়: নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান তৈরি করা, নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা দেওয়াসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে মুক্তভাবে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করা।

সংসদে একটি উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করার কথাও ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, সবার সাথে আলোচনার মাধ্যমে ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন আনা হবে।

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সভাপতির পদ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক বিরোধীদলের জন্যে নির্দিষ্ট থাকবে।

ইশতেহার মতে, আইন ও রাষ্ট্রীয়নীতি প্রণয়ন এবং পর্যালোচনাই হবে সংসদ সদস্যদের মূল কাজ।

সংসদে বিরোধী দলের মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে সকল জাতীয় কমিশন গঠনে এবং ন্যায়পাল নিয়োগে বিরোধী দলের মতকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হবে।

সব সাংবিধানিক পদে নিয়োগের জন্যে সুস্পষ্ট আইন তৈরি করা হবে। ন্যায়পাল ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিসহ সব নিয়োগের জন্যে বিরোধী দলীয় সাংসদ ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সমন্বয়ে স্বাধীন কমিশন গঠন করা হবে।

সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে।

সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হবে। তবে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচনের জন্যে সব রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ নারীদের মনোনয়ন দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকবে।

বাংলাদেশে প্রাদেশিক সরকার প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা পরীক্ষার জন্যে একটি সর্বদলীয় জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে।

স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা হবে

ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব থাকবে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের হাতে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা হবে।

বর্তমানে কমবেশি ৫% বাজেট স্থানীয় সরকার এর মাধ্যমে ব্যয় এর পরিবর্তে প্রতিবছর ৫% হারে বাড়িয়ে পাঁচ বছরে কমপক্ষে ৩০% বাজেট স্থানীয় সরকার এর মাধ্যমে ব্যয়ের বিধান করা হবে।

জেলা পরিষদ জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে।

পৌর এলাকাগুলোতে সব সেবা সংস্থা মেয়রের অধীনে রেখে সিটি গভর্নমেনট চালু করা হবে।

জনকল্যাণে প্রশাসনিক কাঠামো প্রাদেশিক পর্যায়ে বিন্যস্ত করা এবং স্থানীয় সরকারের স্তর নির্ধারণের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করা হবে।

আরও পড়ুন:

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে ট্রুথ কমিশন

ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে ‘দুর্নীতি দমন এবং সুশাসন’

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

14h ago