‘সকল নাগরিককে স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান করা হবে’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঘোষিত ইশতেহারে ‘স্বাস্থ্যখাতে’ বিভিন্ন সংস্কারের কথা উঠে এসেছে। এর ‘স্বাস্থ্য’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ৩১ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে পর্যায়ক্রমিকভাবে ৫০ শয্যা, সকল জেলায় একটি করে মেডিকেল কলেজ স্থাপনপূর্বক ৫০০ শয্যার হাসপাতাল, সকল জেলায় ২০ শয্যাবিশিষ্ট CCU, ২০ শয্যার ICU, ১০ শয্যার NICU স্থাপন করা হবে।
পুরাতন ২১ জেলায় অগ্রাধিকার ভিত্তিক একটি করে ২০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার এবং একটি করে ক্যান্সার কোমোথেরাপি সেন্টার গড়ে তোলা হবে এবং পর্যায়ক্রমিকভাবে তা সকল জেলায় প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হবে।
সকল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের এক বৎসর ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করে এক বছর প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে।
তিন মাসের মধ্যে ঔষধ এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানো হবে।
সকল বড় জেলা শহরে জেনারেল প্র্যাকটিশনার প্রথা চিকিৎসা সৃষ্টি করে দ্রুত যথাযথ চিকিৎসার জন্য রেফারেন্স ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।
জেলা শহরের বিশেষায়িত হাসপাতাল সমূহে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের জন্য স্থানীয়ভাবে সরাসরি মনোনীত ২০০ জন আগ্রহী বিভিন্ন উদীয়মান বিশেষজ্ঞদের রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে দুই বছর সার্বক্ষণিক প্রশিক্ষণ দিয়ে দায়িত্ব নেবার জন্য প্রস্তুত করা হবে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণের জন্য একজন ‘ন্যায়পাল’ থাকবেন। তার অধীনে বিজ্ঞানী পরিসংখ্যানবিদ, ফার্মাকোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট ও ইপিডিমিওলজিস্ট থাকবেন যারা নিয়মিত ওষুধের অপপ্রয়োগ রোধে ব্যবস্থাপত্র নিরীক্ষা এবং সকল হাসপাতাল ও ক্লিনিকে রোগীর মৃত্যুর খতিয়ান নিয়মিত পরীক্ষা করে জনসাধারণকে ফলাফল অবহিত করবেন।
সকল নাগরিককে স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান করা হবে।
Comments