বিএনপির ইশতেহার

‘র‌্যাবের কাঠামো পরিবর্তন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে’

Fakhrul
১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: মোহাম্মদ আল-মাসুম মোল্লা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির ইশতেহারে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে ব্যাপক সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

আজ (১৮ ডিসেম্বর) দলের ইশতেহার ঘোষণার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে। র‌্যাবের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তন করে অতিরিক্ত আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন গঠন করা হবে।”

তিনি বলেন, “সংবিধানের প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। একাধারে পরপর দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিধান করা হবে।”

মন্ত্রিসভাসহ প্রধানমন্ত্রীকে সংসদের কাছে দায়বদ্ধ থাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এতে আরও বলা হয়, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে শর্তসাপেক্ষে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করা হবে।

“নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি সরকার ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে যাতে ক্ষমতা কুক্ষিগতকরণের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্যে অতীতের সমস্যার আলোকে নিরূপণ করা হবে এবং এই লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে স্বচ্ছ আলাপ আলোচনা করা হবে।”

“প্রতিহিংসা ও প্রতিরোধের রাজনীতির বিপরীতে ভবিষ্যতমুখী এক নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য নতুন এক সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে একটি জাতীয় কমিশন গঠন করা হবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “একদলীয় শাসনের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করা হবে। প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ দেওয়া হবে।”

“চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সকল ধরণের তদবির ও চাঁদাবাজি নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। দেশরক্ষা, পুলিশ ও আনসার ব্যতীত শর্তসাপেক্ষে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো সময়সীমা থাকবে না।”

বিডিআর হত্যাকাণ্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরি

বিএনপির ইশতেহারে বলা হয়, বিডিআর হত্যাকাণ্ড এবং বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরি সংক্রান্ত সকল অনুসন্ধানের রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে এবং অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

“রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের সময় যেন সাধারণ মানুষের কোনো ভোগান্তি না হয় সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

“প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব প্রতিবছর প্রকাশ করা হবে।”

সড়ক পথে চলাচলে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা অবসান ঘটানো হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়াও, “দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

38m ago