‘শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সব ধরণের ভ্যাট বাতিল করা হবে’
নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপির ইশতেহারে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নানামুখী সংস্কারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইশতেহারে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে সব ধরণের ভ্যাট বাতিল করা হবে।
এছাড়াও, ভ্যাটবিরোধী, কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।
আজ (১৮ ডিসেম্বর) ইশতেহার ঘোষণার সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “শিক্ষাখাতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হবে।”
তিনি বলেন, “উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষা হবে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে সমৃদ্ধ। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা, প্রতিক্ষণ ও গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। গড়ে তোলা হবে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়।”
“শিক্ষার মানোন্নয়ন ও সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় টিভিতে একটি পৃথক শিক্ষা চ্যানেল চালু করা হবে। বিশ্বের মেধা জগত আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের একটি নতুন মাত্রা যোগের জন্য বাংলা ভাষার পাশাপাশি ইংরেজিসহ অন্যান্য বিদেশি ভাষা শেখার জন্য অধিকতর সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।”
“স্বল্প আয়ের পরিবারে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্বল্প সুদের শিক্ষা ঋণ চালু করা হবে। বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জনের সুবিধার্থে মেধাবীদের বৃত্তি প্রদানের জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হবে,” যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-সংসদের নির্বাচন নিশ্চিত করে ছাত্রদের মধ্য হতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশের পথ সুগম করা হবে।”
মাদ্রাসা শিক্ষাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হবে। তাদের কারিকুলামে পেশাভিত্তিক ও বৃত্তিমূলক বিভিন্ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও ইশতেহারে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, “বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে তা প্রতিরোধ করার জন্য সকল প্রকার আইনি, প্রতিকারমূলক এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরীব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আসন সংরক্ষণ করা হবে। পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা ব্যবস্থা বিলোপ করা হবে।
“প্রথম ৩ বছরে দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থায় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে ২ লাখ মানুষকে চাকরি দেওয়া হবে।”
“তরুণ দম্পতি ও উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ২০ বছর মেয়াদী ঋণ চালু করা হবে। আগামী ৫ বছরে ১ কোটি নতুন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।”
“১ বছরব্যাপী অথবা কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত, যেটি আগে হবে, শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান করা হবে। এদের যৌক্তিক অর্থনৈতিক উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।”
Comments